রিকশাযাত্রীদের মালামাল নিয়ে চম্পট দেওয়ার চক্র আটক

ক্লান্তি ভান করে রিকশাচালক যাত্রীকে বলবেন একটু ধাক্কা দিতে; এসময় পথচারী বেশে থাকা একজন ধাক্কা লাগিয়ে বাঁধিয়ে দেয় ঝগড়া; আর সেই ফাঁকে মালামাল নিয়ে চম্পট রিকশাচালক।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2018, 01:49 PM
Updated : 18 Oct 2018, 01:49 PM

এরকম কয়েকটি ঘটনা ঘটার পর চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে নারীসহ এ চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন- মো. শাহ আলম (৪০), তার স্ত্রী সাথী বেগম (৩৫), মো. হাছান (২৫) ও মো. হাসান (২৫)। তাদের কাছ থেকে পুলিশ ছিনতাই করা ৮৬টি থ্রি-পিস উদ্ধার করা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর জিপিওর সামনে থেকে এক ব্যক্তির ১০৫টি থ্রি-পিস নিয়ে পালিয়ে যায় এক রিকশাচালক। সে অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় হওয়া মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সাথীর বাসা থেকে থ্রি-পিসগুলো উদ্ধার করা হয়।

এরা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য জানিয়ে ওসি মহসিন বলেন, “এ দলে একজন চালকের বেশে রিকশা চালায়। চালকবেশে থাকা ব্যক্তি নিজের অসহায়ত্ব দেখিয়ে যাত্রীকে একটু রিকশা ধাক্কা দিতে বলেন। আর অন্যরা যাত্রীর সাথে কৌশলে ঝগড়া লাগায় এবং চালক মালামাল নিয়ে উধাও হয়ে যায়।”

ওসি জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মো. ইলিয়াছ নামে এক ব্যক্তি রেয়াজউদ্দিন বাজার থেকে রিকশা করে ১০৫টি থ্রি-পিস নিয়ে টেরিবাজারে যাচ্ছিলেন। জিপিও-র সামনে পৌঁছানোর পর চালক ‘অসহায় সুরে’ রিকশা টানতে না পারার কথা জানিয়ে যাত্রী ইলিয়াছকে নেমে ধাক্কা দিতে বলেন।

“এসময় শাহ আলম ইলিয়াছের সাথে নিজ থেকে ধাক্কা লেগে মোবাইল সেট ফেলে দিয়ে ঝগড়া বাধায়। অন্যরাও তার সাথে ঝগড়ায় জড়িয়ে গেলে চালক রিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।”  

ওসি মহসিন বলেন, “গ্রেপ্তার হওয়ারা কাজীর দেউড়ি, টেরিবাজার, রেয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে মালামাল সাথে থাকা যাত্রী টার্গেট করে। টার্গেট অনুযায়ী যাত্রী পেলে তারা নানা কৌশলে যাত্রীর সাথে ঝগড়া লাগিয়ে মালামাল নিয়ে চম্পট দেয়।”

এরআগেও তারা এধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটিয়েছে উল্লেখ করে ওসি জানান, শাহআলম ও হাসানের বিরুদ্ধে নগরী ও ফেনীর বিভিন্ন থানায় কয়েকটি মামলা আছে এবং আগেও তারা গ্রেপ্তার হয়েছিল।