গ্রেপ্তার মোহাম্মদ দিদার ওরফে দিদারুল আলম (৪২) সন্দ্বীপ উপজেলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুচিয়া মোরা গ্রামের মোহাম্মদ ইয়াসিনের ছেলে।
মাস দেড়েক আগে চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে কুমিল্লার বালুতোবা এলাকার একটি হোটেলে চাকরি নিয়েছিল গ্রেপ্তার বাস চালক মোহাম্মদ দিদার ওরফে দিদারুল আলম (৪২)।
মঙ্গলবার তাকে কুমিল্লার বালুতোবা এলাকার একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, মাস দেড়েক আগে চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে কুমিল্লায় যায়। সেখানে পরিচয় গোপন করে নতুন খোলা একটি হোটেলে চাকরি নেয়।
২৭ অগাস্ট নগরীর সিটি গেইট সংলগ্ন কালীরহাট এলাকায় ৪ নম্বর রুটের লুসাই পরিবহনের একটি বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয় রেজাউল করিম রনি (৩৫) নামের স্থানীয় বাসিন্দা ওই যুবককে।
বাস থেকে ফেলে দেওয়ার পর ওই বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান রনি।
রনির মৃত্যুর ঘটনায় একদিন পর তার মামা আবদুর রহমান বাদি হয়ে নগরীর আকবর শাহ থানায় হত্যা মামলা করেন।
পরে পিবিআই’র ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদারের নির্দেশে মামলার তদন্তভার নেয় সংস্থাটি।
পিবিআই কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দিদারুল জানিয়েছে- সেদিন হাতে ব্যথা থাকায় সে বাস চালাচ্ছিল না। বদলি চালক সাদেকুল ইসলাম গাড়িটি চালাচ্ছিল।
“নিহত রেজাউল করিম রনি ওই বাসের যাত্রী ছিলেন না। তিনি ছিলেন কাজী পরিবহনের অন্য একটি বাসের যাত্রী। দুই বাসের মধ্যে সড়কে সাইড দেওয়া নিয়ে সমস্যা হয়।”
দিদারুলের বরাত দিয়ে সন্তোষ বলেন, এরপর রেজাউল করিম রনি মাঝপথে লুসাই পরিবহনের বাসটিতে ওঠেন। তখন চালক সাদেকুলের সাথের রনির বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সহকারী মানিক সরকার এবং দিদারুল মিলে ধাক্কা দিয়ে তাকে গাড়ি থেকে ফেলে দেয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিদারুলকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এই পিবিআই কর্মকর্তা।
নিহত রনির ২২ মাস বয়সী এক কন্যা সন্তান আছে। ২০১১ সালে দুবাই থেকে দেশে ফেরেন রনি। দেশে তিনি মামার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন।