সোমবার সকালে চট্টগ্রাম পুরাতন রেল স্টেশন চত্ত্বরে সাংবাদিক ইউসুফের দ্বিতীয় নামাযে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় বিভিন্ন স্তরের লোকজন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সকাল সাড়ে নয়টায় ইউসুফের লাশ আনা হয় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিএফইউজের নেতৃবৃন্দসহ সাংবাদিকরা মোহাম্মদ ইউসুফকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সাংবাদিক ইউসুফের মেয়ে লুসিফার লায়লা লুসি জানান, ব্রেইক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে প্রায় নয় মাস শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। বার্ধক্যজনিত রোগের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতাতেও ভুগছিলেন।
তিনি দুই মেয়ে এবং এক ছেলে রেখে গেছেন।
গত শতকের ষাটের দশকে দৈনিক ইনসাফ পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করা মো. ইউসুফ আজাদ সংবাদসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকেও সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছিলেন। টানা ৩৪ বছর চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দৈনিক আজাদীতে সাংবাদিকতা করে ২০০২ সালে অবসরে যান।
নব্বইয়ের দশকে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন মো. ইউসুফ। ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির চেয়ারম্যানও।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি মো. ইউসুফ ছিলেন শিশু সংগঠকও। খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতিও ছিলেন প্রবীণ এ সাংবাদিক।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন সাংবাদিক ইউসুফ।
সাংবাদিক ইউসুফের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নাজিম উদ্দিন শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, বিএফইউজের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি কলিম সরোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ শোক জানান।