শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি মন্ত্রী দাবি করেন, ফটিকছড়িতে পথসভার ‘সঠিক চিত্র’ গণমাধ্যমে আসেনি।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রীকে প্রধান অতিথি করে ফটিকছড়ি উপজেলায় পাঁচটি পথসভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ।
সকাল সাড়ে ১০টায় আজাদী বাজারে দুইপক্ষের স্লোগানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে মন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে বক্তব্য না দিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন।
এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নাজিরহাট ঝংকার মোড়ে আরেকটি পথসভার মঞ্চ ভাংচুর হলেও সেখানে তখন মন্ত্রী ছিলেন না। তবে পরে সেখানে সভা করেন তিনি।
স্থানীয়দের ভাষ্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু তৈয়বের সমর্থকদের মধ্যে কোন্দলের জেরে ওই ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় কারও ইন্ধন আছে কিনা সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, “রাজনীতির অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ইন্ধন অবশ্যই আছে, এটা ঠিক। যা দেখেছি প্রধানমন্ত্রীকে জানাব।
“নিজের হাতে অনেক নেতা তুলেছি। তারাই এখন আমার বিরোধিতা করছে। ছেলেরা যদি বেয়াদবি করে, আমাকে অবশ্যই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হবে।”
“মিডিয়া সেটা লিখেছে। কিন্তু আমি যে বাকি চারটি পথসভা করেছি এবং সেগুলো যে জনসভায় পরিণত হয়েছিল, সেই বিষয় মিডিয়ায় আসেনি। এটা সুস্থ সাংবাদিকতা নয়।”
পথসভায় ব্যাপক জনসমাগমের প্রমাণ দিতে মন্ত্রী মোবাইল ফোনে ধারণ করা একটি ভিডিও সংবাদ সম্মেলনে দেখান।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, ফটিকছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামসহ দলের অন্য নেতারা ছিলেন।