বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার আজাদী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় কাছাকাছি সময়ে ওই উপজেলার নাজিরহাটে আরেকটি পথসভার জন্য তৈরি অস্থায়ী মঞ্চও ভাংচুর করা হয়। তবে তখন মন্ত্রী সেখানে ছিলেন না।
ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি পক্ষের বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ এদিন ফটিকছড়ি এবং রাউজান উপজেলায় কয়েকটি পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
রাউজানের গহিরা গোল চত্বরে পথসভা এবং গহিরা ও নোয়াজিশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভায় অংশ নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আজাদী বাজারে যান তিনি।
পথসভায় মোশাররফের বক্তব্যের সময় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা এইচ এম আবু তৈয়ব এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরীর অনুসারীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকে।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, এসময় ইঞ্জিনিয়ার মোশারারফ স্লোগান থামাতে বলেন। কিন্তু কোনো পক্ষই স্লোগান না থামালে তিনি বক্তব্য অসমাপ্ত রেখেই মঞ্চ থেকে নেমে যান।
ফটিকছড়ি থানার ওসি বাবুল আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজাদী বাজারে পাল্টাপাল্টি স্লোগানের কারণে মন্ত্রী পথসভা শেষ না করেই চলে যান।”
ঘটনার বিষয়ে আবু তৈয়ব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সভায় আমি যাইনি। আমাদের অহেতুক দোষারোপ করা হচ্ছে।
“শুনেছি আমাদের নামে স্লোগান হয়েছে। উপজেলা কমিটি নিয়ে যে বিরোধ, তা মিমাংসার পথে। তাই প্রতিপক্ষ এ কাজ করেছে। তবে কমিটি নিয়ে যে বিরোধ সেটা আজকের আগেই মীমাংসা করা হলে ভাল হত।”
নাজিম উদ্দিন মুহুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজাদী বাজারে স্লোগান দিতে নিষেধ করে মন্ত্রী। স্লোগান না থামানোয় তিনি রাগ করে স্টেজ থেকে নেমে গেছেন।
“মন্ত্রী গাড়িতে করে নাজিরহাট যাওয়ার সময় নানুপুর ওবাইদিয়া মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের অনুরোধে তিনি ওই মাদ্রাসায় যান ও ঘুরে দেখেন।”
নাজিরহাটে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পথসভার মঞ্চ ভাংচুর করা হয়।
এ বিষয়ে নাজিম উদ্দিন মুহুরী বলেন, “তখন মন্ত্রী সেখানে পৌঁছেননি। কিছু লোকজন এসে ব্যানার ছিঁড়ে দেয় এবং ভাংচুর করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।”
তবে দুপুরে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সেখানে জনসভা হয়। এরপর ভুজপুর, বিবিরহাট ও হেঁয়াকো বাজার এলাকায় জনসভা করেন মোশাররফ।
ওসি বাবুল আক্তার বলেন, “নাজিরহাটে এবং এরপর আরও তিন জায়গায় শান্তিপূর্ণ সভা হয়েছে।”