বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর কমিটি ঘোষণার পর এ নিয়ে চার দফা দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের ঘটনা ঘটল।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা বেলা ১টার দিকে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করে। কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের অনুসারীরা তখন তাদের বাধা দেয়।
এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মাঝখানে পুলিশ অবস্থান নিলে ঢিল ছোড়াছুড়ি এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৩০-৪০ জন বহিরাগত নিয়ে বেলাল ও ওবায়েদ ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করে। তাদের নিষেধ করায় বাক-বিতণ্ডা হয়েছে। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে।”
এ ঘটনার বিষয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী পক্ষের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
“তারা ইট নিক্ষেপ করেছে। পরে ধাওয়া দিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইটের আঘাতে একজন কনসটেবল আহত হয়েছেন।”
তিন দশকের বেশি সময় পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
প্রয়াত নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী মাহমুদুল করিমকে এই কমিটিতে সভাপতি এবং প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির অনুসারী সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কমিটি ঘোষণার পরদিনই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া এ পক্ষের কয়েকজন পদত্যাগও করে।
২০ অক্টোবর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নাছিরের অনুসারীরা মাহমুদুল করিমকে ‘উত্যক্তকারী’ এবং সুভাষ মল্লিক সবুজকে ‘ভূমিদস্যু’ আখ্যায়িত করে কমিটি বাতিলের দাবি জানায়।
সবশেষ ৩ অক্টোবর আবার চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।