সোমবার চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন এ আদেশ দেন।
ওই আদেশের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মাইদুল ইসলামের আইনজীবী ভুলন লাল ভৌমিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন তিনি।
“উচ্চ আদালতের সেই জামিন আদেশ অনুসারে আজ নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গত ২৩ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হাটহাজারি থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখারুল ইসলাম।
কোট আন্দোলনকারীদের পক্ষে ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়ায় মাইদুল ইসলাম এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খ. আলী আর রাজীকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছাত্রলীগ।
তাদের চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়ে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হুমকির কারণে ক্যাম্পাস ছেড়ে নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টরের কাছে আবেদন জানিয়েছেন শিক্ষক মাইদুল ইসলাম।
সবশেষ গত ৬ অগাস্ট উচ্চ আদালত থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনও নেন তিনি।
আরও খবর