চট্টগ্রামে যাত্রীবেশে গাড়ি ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৫

চট্টগ্রাম নগরীতে দুই দিন আগে ছিনতাই হওয়া একটি প্রাইভেট কার উদ্ধার করা হয়েছে সীতাকুণ্ড থেকে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2018, 12:13 PM
Updated : 20 Sept 2018, 12:13 PM

বৃহস্পতিবার সকালে সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর থেকে প্রাইভেট কারটি উদ্ধারের সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- মো. জাহেদ আলম, মো. রাব্বি, মো. মহিউদ্দিন, শাহাব উদ্দিন এবং মো. তারেক। তাদের বয়স ২২ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে।

ডবলমুরিং থানা পুলিশ বলছে, ওই পাঁচজন ‘পেশাদার’ গাড়ি ছিনতাইকারী; যাত্রীর বেশে তারা প্রাইভেট কারটি ভাড়া করেছিল।

ওই গাড়ির মালিক এ কে আজাদ ঢাকার কুড়িলে থাকেন। শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় তিনি রেন্ট এ কারের ব্যবসা করেন।

ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকা থেকে এক যাত্রীকে নিয়ে কক্সবাজারের চকরিয়া গিয়েছিলেন ওই প্রাইভেট কারের চালক আসলাম।

ফেরার পথে মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের একে খান মোড়ে যাত্রীবেশে তারেক গাড়িটি ভাড়া নিয়ে বাকি চারজনকে তুলে ঢাকার দিকে রওনা হন।

“গাড়িটি ভাটিয়ারি পৌঁছানোর পর চালককে মারধর করে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। তারপর আরা চট্টগ্রামের দিকে চলে আসে। দেওয়ান হাট ফ্লাইওভারে এসে তারা চালক আসলামের মোবাইল সিম নিয়ে তাকে সেখানে ফেলে দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যায়।”

স্থানীয় লোকজন পরে আসলামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে ছিনতাইকারীরা বুধবার গাড়ির মালিক আজাদকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।

জহির বলেন, “গাড়ি ফিরিয়ে নিতে তাকে চট্টগ্রামে আসতে বলে ছিনতাইকারীরা। আজাদ বুধবার আসলামকে সঙ্গে নিয়ে এসে ডবলমুরিং থানায় অভিযোগ করেন।”

অভিযোগ পাওয়ার পর আজাদকে সঙ্গে নিয়ে গাড়ি উদ্ধারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। ছিনতাইকারীদের কথা অনুযায়ী তারা ফৌজদারহাট বাইপাস এলাকায় যান।

সন্ধ্যায় গাড়িটি নিয়ে সেখানে এসে ছিনতাইকারীরা মালিকের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে। এক পর্যায়ে জাহেদ ও রাব্বি গাড়ির মালিককে টেনে প্রাইভেটকারে তোলার চেষ্টা করে।

“পুলিশ তখন ধাওয়া করে জাহেদকে ধরে ফেলে। কিন্তু অন্যরা গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে জাহেদকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে জঙ্গল সলিমপুর এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করা হয়।”

গাড়ি উদ্ধারের পর ভাটিয়ারি থেকে তারেক ও রাব্বিকে, নগরীর বায়েজিদ থানার তুলাতলী এলাকা থেকে মহিউদ্দিন এবং কোতোয়ালি থানার ফিরিঙ্গী বাজার এলাকা থেকে শাহাবউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করে ওই পাঁচজনকে আদালতে পাঠানো হলে জাহেদ মহানগর হাকিম আল ইমরানের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে পরিদর্শক জহির জানান।

তিনি বলেন, বাকি চারজনকে সাত দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আদালত রোববার এ বিষয়ে শুনানির দিন রেখেছে।