বুধবার দুপুরে দ্বিতীয় দিনের মতো কলেজের সামনের সড়কে এঘটনার সময় বেশ কয়েকটি হাতবোমা ফাটানো হয় এবং গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (চকবাজার জোন) নোবেল চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পদবঞ্চিতরা মিছিল নিয়ে গণি বেকারির দিকে আসার সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
“এসময় কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কমিটিতে পদবঞ্চিতরা বুধবার সকালে কলেজের ভেতরে বিক্ষোভ করতে থাকে। বেলা পৌনে ১টার দিকে বহিরাগত বেশকিছু যুবক গণি বেকারি ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেয়।
এসময় কলেজ থেকে একটি মিছিল নিয়ে তারা গণি বেকারির দিকে এলে সেখানে বহিরাগত যুবকরা সে মিছিলটিতে যোগ দিতে যায়। এসময় তাদের অনেকের হাতে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ছিল বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
মিছিলটি গুলজারের দিকে গিয়ে পুনরায় গণি বেকারির দিকে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। এসময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরেরও ঘটনা ঘটে।
দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এসময় কলেজ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্কুলে আসা অভিবাবকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
আশির দশকের শেষ দিকে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজ ও হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের দখল নিয়ে একক রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল ইসলামী ছাত্র শিবির। তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় এ দুই কলেজে অন্য ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম এক প্রকার নিষিদ্ধ ছিল।
চট্টগ্রাম কলেজে খুন হয় ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়নের একাধিক নেতা। হামলায় আহত হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের শতাধিক নেতা কর্মী।
২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর এ দুই কলেজের নিয়ন্ত্রণ নেয় ছাত্রলীগ। বিভিন্ন সময়ে নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারে সংঘর্ষেও জড়াই সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের বিভিন্ন নেতার অনুসারী কর্মীরা। এর মধ্যে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের ২৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে মহানগর ছাত্রলীগ।
কমিটি বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করে রাথে পদবঞ্চিতরা। যারা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারি বলে পরিচিত।