বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট ডাকার হুমকি দিয়েছেন তারা।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, সম্প্রতি কাগজপত্র যাচাইয়ের অজুহাতে পরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা মোকাদ্দমা দিয়ে এবং টো বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।
পুরো চট্টগ্রামে বিআরটিএ ও ট্রাফিক প্রশাসনের এই ধরনের হয়রানির কারণে পণ্য ও গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা গাড়ি চালাতে গিয়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, “এক শ্রেণির মালিক নামধারী নেতার কুপরামর্শে এ ধরনের ঘটনায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে মালিক গ্রুপের সিনিয়র সহ-সভাপতি কফিল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, “সরকার বলছে পরিবহন খাতকে নিয়মের মধ্যে আনার কথা। ফিটনেস থাকলে গাড়ি চলতে অসুবিধা নেই। টো করে রাস্তা থেকে গাড়ি নিয়ে বাণিজ্য করা হয়।”
এ কারণে ভয়ে চালক-মালিকরা গাড়ি রাস্তায় বের করেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “একটি গাড়িকে বারবার মামলা দেওয়া হচ্ছে। এতে করে জনগণের কষ্ট হবে, আল্টিমেটলি সরকারের ওপরই চাপ বাড়বে।”
সংবাদ সম্মেলন থেকে ছয়দফা দাবি দেওয়া হয় প্রশাসনের কাছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ১৯৮৩ সালের আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মটর ভেহিক্যাল অধ্যাদেশ ২০১৭-১৮ প্রণয়ন করা।
এছাড়া বলা হয়, বিআরটিএর ফিটনেস ও পারমিট নবায়নে হয়রানি বন্ধ, গণ ও পণ্য পরিবহনে বিভিন্ন কর বৈষম্য দূর করা, গাড়ির ইকনোমিক লাইফের অজুহাত দেখিয়ে ফিটনেস ও পারমিট বন্ধ না রাখা; কাগজপত্র ছাড়া যেসব গাড়ি আছে সেসব বাদ দিয়ে অন্য পরিবহনগুলো টো বা ডাম্পিং করা যাবে না।
সংবাদ সম্মেলন থেকে গাড়ির কেইস স্লিপের মেয়াদ থাকা অবস্থায় পুনরায় মামলা দেওয়া বন্ধ এবং সড়ক-মহাসড়কে টেম্পো, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, থ্রি হুইলারসহ অননুমোদিত গাড়ি পুরোপুরি বন্ধের দাবি জানানো হয়।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি মানা না হলে বৃহত্তর চট্টগ্রামে পরিবহন মালিকরা সব ধরনের পণ্য ও গণপরিবহন বন্ধ রাখতে বাধ্য হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন আবুল কালাম আজাদ।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের কার্যকরী সভাপতি জহুর আহম্মদ, সহ-সভাপতি মাহবুবুল হক মিয়া, অতিরিক্ত মহাসচিব গোলাম রসূল বাবুল, উত্তর জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান প্রমুখ।