সমর চৌধুরীকে ‘ফাঁসানোর’ ঘটনায় বোয়ালখালীর ওসিকে বদলি

ইয়াবা ও অস্ত্র দিয়ে ‘ফাঁসানোর’ পর চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে শিক্ষানবীশ আইনজীবী সমর কৃষ্ণ চৌধুরীকে ‘ক্রসফায়ারের দেওয়ার চেষ্টার’ অভিযোগ ছিল যে ওসির বিরুদ্ধে, সেই হিমাংশু দাস রানাকে বদলি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2018, 03:36 PM
Updated : 25 August 2018, 04:25 PM

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা শনিবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার বিকালে বদলির এই আদেশ কার্যকর করা হয়েছে।

“হিমাংশুকে স্বাভাবিক বদলি করা হয়েছে। তাকে জেলা পুলিশ লাইনে অর্ডিনারি রিজার্ভে সংযুক্ত (এলওআর) করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে পদায়ন করা হবে।”

তদন্ত কমিটি হিমাংশু দাস রানার বিরুদ্ধে যে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে, তা ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মিনা।

সমর দাসের ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (দক্ষিণ) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) ও সহকারী পুলিশ সুপারকে (বিশেষ শাখা) কমিটির সদস্য করা হয়েছিল।

সমর চৌধুরী চট্টগ্রাম শহরে থাকলেও তার বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলার দক্ষিণ সারোয়াতলী গ্রামে। ওই গ্রামের লন্ডনপ্রবাসী সঞ্জয় দাশের সঙ্গে তার কাকা স্বপন দাশের জমি নিয়ে বিরোধ আছে। স্বপন দাশকে আইনগত পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছিলেন সমর চৌধুরী।

ওই ঘটনার জের ধরে ‘সঞ্জয় দাশের প্ররোচনায়’ চট্টগ্রাম রেঞ্জের তৎকালীন ডিআইজি মনির-উজ-জামানের ‘নির্দেশে’ সমরকে গত ২৭ মে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর তাকে ইয়াবা ও অস্ত্র মামলার আসামি করা হয়।

গত ১২ জুন জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সমর চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন, এসআই আরিফুর রহমান ও এসআই আতিকউল্লাহ নেতৃত্বে বোয়ালখালী থানার একটি দল তাকে থানায় ধরে নিয়ে যায়।

ওসি হিমাংশু দাশ রানার নির্দেশে তাকে ‘ক্রসফায়ার’ দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা ও থানায় নির্যাতনের অভিযোগ করেন সমর।

সমর চৌধুরীকে আটক করা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এর মধ্যেই ডিআইজি মনির-উজ-জামানকে চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় বোয়ালখালী থানার এসআই আতিক উল্লাহ ও আরিফুর রহমানকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছিল।