ঈদের আগের দিন মঙ্গলবার সকালে নগরীর প্রধান ঈদ জামাত প্রাঙ্গণ পরিদর্শন শেষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা সাংবাদিকদের জানান চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমান।
চট্টগ্রামে ঈদের প্রধান জামাত হবে সকাল পৌনে ৮টায় জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে। একই স্থানে সকাল পৌনে ৯টায় আরেকটি জামাত হবে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে এবার বন্দরনগরীর ৪১ ওয়ার্ডে আয়োজন করা হয়েছে ১৬৫টি ঈদ জামাত।
সিএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “এবারের ঈদে বন্দরনগরীতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ইউনিফর্মধারী পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা ও বিশেষ শাখার পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন সাধারণ পোশাকে। বাড়ানো হবে টহল টিম।”
নগরীর ৫৪টি পয়েন্টে ‘ফোর্স’ মোতায়েন থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ঈদে শহর খালি থাকবে। বাসাবাড়ির নিরাপত্তায়ও প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবং তল্লাশি অব্যাহত থাকবে।”
নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশির ‘বিড়ম্বনা’ মেনে নিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান নগর পুলিশের প্রধান মাহাবুবর।
“প্রতিবারের মত এবারও চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহর প্রধান ঈদ জামাতে তল্লাশি পেরিয়ে প্রবেশ করতে হবে। পুরো ঈদ জামাত এলাকা সিসি ক্যামেরার অধীনে থাকবে।”
ঈদের দিনে কোরবানি পশুর চামড়া যাতে পাচার না হতে পারে সেজন্য বিভিন্ন চেকপোস্টে তল্লাশি চলবে বলে জানান তিনি।
মাহাবুবর বলেন, কোরবানির একদিন আগ পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন গরুর বাজারে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মলম পার্টির দৌরাত্মের খবর পাওয়া যায়নি।
এবারে মহানগরের ৭৫ শতাংশ পুলিশ সদস্য চট্টগ্রামের জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদের ছুটি বাদ দিয়ে ডিউটিতে থাকছেন বলে জানান পুলিশ কমিশনার।
অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) মাসুদ উল হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) আমেনা বেগমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।