৩৪ লাখ টাকায় এই ‘ন্যাচারাল মিনি এভিয়ারি’ নির্মাণের কাজ এরই মধ্যে অর্ধেক শেষ হয়েছে বলে চিড়িয়াখানা নির্বাহী কমিটির সদস্য সচিব ও কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের পরিকল্পনা আর নির্দেশনায় এই ন্যাচারাল মিনি এভিয়ারি নির্মাণ করা হচ্ছে।
“এতে অবকাঠামো খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ লাখ টাকা আর পাখি কেনায় ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ লাখ টাকা।”
রুহুল আমিন বলেন, ছয় প্রজাতির ৩০০ পাখি নিয়ে শুরু হবে এই এভিয়ারি। এর মধ্যে লাভ বার্ড ২০ জোড়া, লাফিং ডাভ ৫০ জোড়া, ফিজেন্ট ১০ জোড়া, রিংনেড প্যারোট ১০ জোড়া, কোকাটেইল ৫০ জোড়া এবং এক জোড়া ম্যাকাও পাখি থাকবে।
চিড়িয়াখানায় আগে থেকে কয়েক প্রজাতির বকসহ খাঁচায় কিছু পাখি আছে।
১৯৮৯ সালে নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় ছয় একর জায়গায় নির্মিত হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা।
জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এ চিড়িয়াখানায় বর্তমানে রয়েছে বাঘ, সিংহ, হরিণ, কুমির, অজগর, ভাল্লুক, জেব্রা, উট পাখিসহ প্রায় ৪৭ প্রজাতির প্রাণী।
দীর্ঘদিন বাঘ ও সিংহ ছাড়া থাকা চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ২০১৬ সালের ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকা খরচ করে আনা হয় এক জোড়া বাঘ। এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর ‘অদল-বদল’ প্রক্রিয়ায় রংপুর চিড়িয়াখানায় একটি সিংহী দিয়ে একটি সিংহ আনা হয়।
সবশেষ গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয় ছয়টি জেব্রা।
এটিই দেশের একমাত্র চিড়িয়াখানা যার ব্যয় নির্বাহ হয় দর্শনার্থীদের টিকেট বিক্রির টাকায়। টিকেট বিক্রির অর্থ দিয়েই জেব্রাগুলো কেনা হয়েছে।