নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ৫ অগাস্ট থেকে সারা দেশে ট্রাফিক সপ্তাহ পালানের ঘোষণা দেয় পুলিশ। গত শনিবার ট্রাফিক সপ্তাহ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা আরও তিনদিন বাড়িয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত করা হয়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রতিদিন এক হাজারেরও বেশি মামলা হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে। আটকও হচ্ছে অনেকে গাড়ি।
ট্রাফিক পুলিশের চলমান অভিযানে জনগণের মধ্যে সচেতনতা আসছে বলেও মনে করেন তিনি।
নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ট্রাফিক সপ্তাহের নয়দিনে মামলা হয়েছে নয় হাজার ৫৪১টি। পাশাপাশি এসময়ে আটক করা হয়েছে ৭৪১টি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন।
চট্টগ্রাম নগরীর ট্রাফিক বিভাগের উত্তর ও বন্দর জোনের অধীনে গত ৫ থেকে ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত এসব মামলা ও যানবাহন আটক করা হয়।
চলমান ট্রাফিক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি মামলা করা হয়েছে মোটর সাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে।
অটো রিকশার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এক হাজার ৭০৯টি। মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে দুই হাজার ৪৫৮টি।
বাস মিনিবাসের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে ৮৩৮টি। আর ট্রাক-কভার্ড ভ্যানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৮৭৮টি। এছাড়াও ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস ও পিকআপের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৮৯৮টি।
পুলিশ কর্মকর্তা কুসুম দেওয়ান জানান, প্রথম আট দিনে যতগুলো মামলা হয়েছে তার মধ্যে এক হাজার ৩৮৫টি মামলা হয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার কারণে।
“তার মানে সড়কে যতজন লোক গাড়ি চালান তাদের মধ্যে অনেকেই গাড়ির লাইসেন্স সাথে রাখেন না কিংবা নেই।”
তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে আস্তে আস্তে করে সচেতনতা আসছে। মানুষ আগে তাদের গাড়ির কাগজপত্র হাল নাগাদ রাখত না। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে সবাই বিআরটিএমুখী হয়েছে কাগজপত্র হালনাগাদ করতে।