সমর চৌধুরীর ঘটনায় আরেক পুলিশ প্রত্যাহার

চট্টগ্রামে ‘প্রবাসীর প্ররোচনায় ইয়াবা ও অস্ত্র দিয়ে’ শিক্ষানবীশ আইনজীবী সমর চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় আরও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2018, 01:26 PM
Updated : 11 August 2018, 01:26 PM

চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বোয়ালখালী থানার এসআই আতিক উল্লাহকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

“সমর চৌধুরীর ঘটনাটি ছাড়াও এসআই আতিকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।”

গত বৃহস্পতিবার বিকালে এসআই আতিককে প্রত্যাহারের আদেশ দেয়া হলেও তা শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার মিনা।

সমর চৌধুরীর ঘটনায় এর আগে গত ১৯ জুলাই একই থানার এসআই আরিফুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছির।

সমর চৌধুরী চট্টগ্রাম শহরে থাকলেও তার বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলার দক্ষিণ সারোয়াতলী গ্রামে। ওই গ্রামের লন্ডনপ্রবাসী সঞ্জয় দাশের সঙ্গে তার কাকা স্বপন দাশের জমি নিয়ে বিরোধ আছে। স্বপন দাশকে আইনগত পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছিলেন সমর চৌধুরী।

ওই ঘটনার জের ধরে ‘সঞ্জয় দাশের প্ররোচনায়’ চট্টগ্রাম রেঞ্জের তৎকালীন ডিআইজি মনির-উজ-জামানের ‘নির্দেশে’ সমরকে গত ২৭ মে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর তাকে ইয়াবা ও অস্ত্র মামলার আসামি করা হয়।

সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে সমর চৌধুরীকে ইয়াবা আটকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

অস্ত্র হাতে সমর চৌধুরীর ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এর মধ্যেই ডিআইজি মনির-উজ-জামানকে চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।

গত ১২ জুন জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সমর চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন এসআই আরিফুর রহমান ও এসআই আতিক উল্লাহর নেতৃত্বে বোয়ালখালী থানার একটি দল তাকে থানায় ধরে নিয়ে যায়।

ওসি হিমাংশু দাশ রানার নির্দেশে তাকে ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার চেষ্টা ও থানায় নির্যাতনের অভিযোগ করেন সমর।

তবে এখন পর্যন্ত ওসি হিমাংশু দাশ রানার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।