মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটিও করা হয়েছে।
এদিকে বিকালে বাড়ির মালিকের ছেলে ও অভিযোগ ওঠা এসআই সাইফের বিরুদ্ধে মামলা করেছে র্যাব।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মোস্তাইন হোসাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এসআই খন্দকার সাইফ উদ্দীনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এসআই সাইফ উদ্দীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাকলিয়া থানায় করা এ মামলায় বাড়ির মালিকের ছেলে এসএম নাজিম উদ্দিন মিল্লাতকে (৩৭) প্রধান আসামি করা হয়েছে। পলাতক দেখানো হয়েছে এসআই সাইফকে।
বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, র্যাব-৭ এর ডিএডি নাজমুল হুদা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
নগরীর পশ্চিম বাকলিয়ার তুলাতলী হাফেজ নগর এলাকার হাজী গোফরান উদ্দিন মুন্সীর বাড়িতে সোমবার রাতে অভিযান চালায় র্যাব। ওই বাড়ির নিচ তলার একটি বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন বাকলিয়া থানার চাক্তাই ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খন্দকার সাইফ উদ্দীন।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মিমতানুর রহমান জানান, বাসাটি থেকে ১৪ হাজার ১০০ ইয়াবা উদ্ধার করা এবং বাড়ির মালিকের ছেলে মিল্লাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাসটিতে বেশকিছু ব্যাগও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন অভিযানে থাকা এক কর্মকর্তা।
র্যাব-৭ এর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, তিনতলা ভবনের নিচ তলার বাসাটি মাসিক আট হাজার টাকা ভাড়া দিতেন এসআই সাইফ। তার আগে চাক্তাই ফাঁড়ির এক পুলিশ সদস্য বাসাটি ভাড়া নিয়েছিলেন। বাসাটি তারা ‘টর্চার সেল’ হিসেবে ব্যবহার করতেন।
শাহ আমানত সেতু চেকপোস্টে প্রতিদিন তল্লাশির নামে সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ ছিল সেখানকার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। চেকপোস্টটি বাকলিয়া থানার চাক্তাই ফাঁড়ির অধীনে।