ছাত্রলীগের ‘হুমকি’, নিরাপত্তা চান চবি শিক্ষক

ছাত্রলীগের ‘হুমকিতে’ ক্যাম্পাস ছাড়ার পর এবার নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2018, 01:00 PM
Updated : 23 July 2018, 01:00 PM

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের পক্ষে ফেইসবুকে পোস্ট দেওয়ায় এ শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্তের উদ্যোগ নেওয়ার পর মাইদুল নিজের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনকে চিঠি দেন।

চিঠিতে তিনি লিখেছেন, গত ১৪ জুলাই এক ছাত্রলীগকর্মী তার ও পরিবারের ছবি পোস্ট করে ‘দেখে নেওয়ার হুমকি’ দিয়েছিলেন। এরপর আরও কয়েকজন তার বিরুদ্ধে ফেইসবুকে হুমকি দিতে থাকায় ১৫ জুলাই ক্যাম্পাসের বাসা ছেড়ে দেন তিনি।

“গত ১৬ জুলাই ২০ থেকে ৩০ জন ছেলে সমাজতত্ব বিভাগে আমাকে খুঁজতে যায়। না পেয়ে বিভাগীয় সভাপতিকে নালিশ করেন। পরদিন বানোয়াট তথ্য দিয়ে আমাকে চাকরিচ্যুত করার জন্য উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেয়।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র শিক্ষক মাইদুলের চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ামানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

গত ১৭ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমাজতত্ত্ব বিভাগের মাইদুল ইসলাম এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খ. আলী আর রাজীকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়ে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন আলমগীর টিপু।

টিপুর স্মারকলিপির পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশসন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

স্মারকলিপি দেওয়া টিপুর বিরুদ্ধে নিজ দলের নেতা ও সিআরবি’তে দরপত্র সন্ত্রাসে জোড়া খুনের অভিযোগ আছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে টিপুর অনুসারী ছাত্রলীগকর্মীরা প্রক্টরের উপস্থিতি তার কার্যালয়ে ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলের গাড়ি ভাংচুর করে।

এর আগে গত বছরের শেষ দিকে বর্ধিত গৃহকরের আন্দোলনে থাকা চবি শিক্ষক মুহাম্মদ আমীর উদ্দিনকে ক্লাস রুমে গিয়ে অস্ত্র ঠেকানোর অভিযোগও রয়েছে টিপুর অনুসারীদের বিরুদ্ধে।

এরপর টিপুর নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগকর্মী উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে শিক্ষক আমীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। স্মারকলিপি দিয়ে বের হয়ে আসার সময় উপাচার্য়ের কার্যালয়ের বাইরে ভাংচুর চালায় তারা।