মহিউদ্দিন হত্যা: হাজি ইকবালসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

চট্টগ্রামে যুবলীগকর্মী মহিউদ্দিন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবালসহ ২০ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2018, 05:02 PM
Updated : 22 July 2018, 05:02 PM

রোববার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্রটি জমা দেওয়া হয় বলে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী জানিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নে বলেন, “অভিযোগপত্র বিস্তারিত দেখার সময় পাইনি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।”

বন্দর থানার ওসি মইনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামলায় করা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

“হাজী ইকবাল, তার ছেলে, মেয়ে জামাই এবং ভাইও এ মামলায় আসামি। তাদের উপস্থিতিতেই হত্যাকাণ্ডের যে অভিযোগ মামলায় করা হয়, তার প্রমাণ তদন্তে মিলেছে।”

স্থানীয় মেহের আফজল উচ্চ বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী উপলক্ষে ২৬ মার্চ দুপুরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বৈঠক চলাকালে মহিউদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এসময় হাজী ইকবালের ছেলে আলী আকবর, ভাই মুরাদসহ তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য সেখানে ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবারের দাবি, হাজী ইকবালের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল গিয়ে মহিউদ্দিনকে খুন করে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর থেকে হাজী ইকবাল পলাতক। হত্যা মামলা হওয়ার পর ঢাকার এক বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইকবালের ছেলেসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

হাজী ইকবাল একসময় বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য আট বছর আগে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তবে তিনি আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবেই নিজের পরিচয় দেন বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।

তারা জানান, বছরখানেক আগে হাজী ইকবাল মেহের আফজল স্কুলের এক শিক্ষককে ছুরিকাঘাত করেছিলেন। সে সময় মহিউদ্দিন ওই স্কুলশিক্ষকের পক্ষ নেওয়ায় হাজী ইকবালের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। সেই বিরোধের জেরে মহিউদ্দিন খুন হয়েছেন।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন নিহত মহিউদ্দিনের মা হাজী ইকবালসহ ১৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।