এসআই আরিফুর রহমান নামে ওই পুলিশ সদস্যকে বোয়ালখালী থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সমর চৌধুরীর ঘটনাটি ছাড়াও এসআই আরিফের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাই তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।”
পুলিশ সুপার জানান, পাশাপাশি ঘটনার বিস্তারিত তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (দক্ষিণ) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) ও সহকারী পুলিশ সুপারকে (বিশেষ শাখা) কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মিনা বলেন, “সমর চৌধুরী মুক্তি পাওয়ার পর ডিআইজি স্যার ও আমার সাথে দেখা করে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ তদন্ত করতে তিন সদস্যের এই কমিটি করা হয়েছে।”
কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে জানান এসপি।
সমর চৌধুরী চট্টগ্রাম শহরে থাকলেও তার বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলার দক্ষিণ সারোয়াতলী গ্রামে। ওই গ্রামের লন্ডনপ্রবাসী সঞ্জয় দাশের সঙ্গে তার কাকা স্বপন দাশের জমি নিয়ে বিরোধ আছে। স্বপন দাশকে আইনগত পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছিলেন সমর চৌধুরী।
সমর চৌধুরীকে আটক করা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এর মধ্যেই ডিআইজি মনির-উজ-জামানকে চট্টগ্রাম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
গত ১২ জুন জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সমর চৌধুরী অভিযোগ করেছিলেন এসআই আরিফুর রহমান ও এসআই আতিকউল্লাহ নেতৃত্বে বোয়ালখালী থানার একটি দল তাকে থানায় ধরে নিয়ে যায়।
ওসি হিমাংশু দাশ রানার নির্দেশে তাকে ‘ক্রস ফায়ার’ দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা ও থানায় নির্যাতনের অভিযোগ করেন সমর।