আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাই এ হামলা চালিয়েছে। তবে ছাত্রলীগ নেতারা তা অস্বীকার করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ক্যাম্পাসের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সামনে মানববন্ধনে দাঁড়ান শিক্ষার্থীরা। এসময় আরেকদল শিক্ষার্থী তাদের ঘিরে দাঁড়ায় এবং মারধর করে। হামলাকারীদের কিল-ঘুষি ও থাপ্পড়ে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির আন্দোলন নিয়ে ফেইসবুকে নিউজ শেয়ার করায় সমাজতত্ব বিভাগের অধ্যাপক মাইদুল হাসানকে সম্প্রতি হুমকি দেওয়া হয়। তার পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক খ. আলী আর রাজীও রোষানলে পড়েন।
এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মানববন্ধন ডাকে শিক্ষার্থীরা; ওই কর্মসূচিতে কয়েকজন শিক্ষকও অংশ নেন।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মানববন্ধন শুরুর একটু পরই হামলা হয়। তাদের নিষেধ করলেও শোনেনি।”
ছাত্রলীগের চবি শাখার বিলুপ্ত কমিটির উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল হাসান দীনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কিছু লোকজন কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ইস্যু করে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে চাইলে তাদের সরিয়ে দিয়েছি মাত্র।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে না জানিয়েই এই মানববন্ধন ডাকা হয়েছিল।
“হামলার ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”