শনিবার মদুনঘাটে হালদা পাড়ে এ মানববন্ধনে বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি এলাকার মানুষও অংশ নেন।
হালদা নদীর পাশাপাশি সংযুক্ত সাতটি খালও দূষণমুক্ত করার দাবি জানানো হয় মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে।
গত সপ্তাহে টানা কয়েকদিনের অতিবৃষ্টি ও পাহড়ি ঢলের কারণে শিল্পবর্জ্য পড়ে দূষিত হয় হালদা নদী। আশপাশের বসতিতে এ শিল্পবর্জ্য ঢুকে পড়ায় মারা যাচ্ছে বিভিন্ন পুকুরের মাছ; নষ্ট হয়েছে ফসলী জমি।
হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণী বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, হালদাকে বাঁচাতে হলে আশপাশের খালগুলো শিল্প কারখানার বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে হবে। এসব খালে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করা না গেলে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন স্থান হালদা নদীকে বাঁচানো যাবে না।
তিনি অভিযোগ করেন, বায়েজিদ থেকে কুলগাঁও ও নন্দীর হাট পর্যন্ত এলাকার শিল্প কারখানার বর্জ্য ফেলা হয় খালে। নদীর সাথে যুক্ত খাল থেকে বর্জ্য গিয়ে পড়ছে হালদা নদীতে।
শিল্পবর্জ্যের রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে হালদা নদীতে বিষক্রিয়ায় দূষণ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন মনজুরুল কিবরিয়া।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বোর্ড মেম্বার জসীম উদ্দিন শাহ বলেন, হালদাকে বাঁচাতে হলে হাটাখী, খন্দকিয়া ও মাদারি খালকে রক্ষা করতে হবে। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্জ্যকে লোকালয়ে ছড়িয়ে দেওয়ায় জীব বৈচিত্র্য হুমকিতে পড়েছে।
‘বাংলাদেশের নদী, বাংলাদেশের প্রাণ/ দেশ বাঁচাতে নদী বাঁচান’, ‘নদী আমার, জমি আমার/ শিল্প তোমার, বর্জ্য তোমার’, ‘চাষের জমিতে বর্জ্য কেন?’, ‘হালদার মাছ মারব না, দেশের ক্ষতি করব না’ এধনের বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে হাটহাজারীর মাদার্শা, শিকারপুর, উত্তর মাদার্শা উরকিরচর ও বুড়িশ্চর ইউনিয়নের মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।
ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দন ও এস এম মজিবুল সঞ্চালনে সমাবেশে সংহতি জানায় আহমদিয়া জনকল্যাণ সংস্থা, রেসকোর্স সেচ্ছাসেবী সংগঠন, ব্রিগেড, হাটহাজারী ফেডারেশন, মদুনাঘাট বাজার সমিতি, উড়কিরচর জনতা সংঘসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা মানববন্ধনে অংশ নেন।