চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে আগাম ঈদ

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি গ্রামের মুসলমানরা শুক্রবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 June 2018, 05:58 AM
Updated : 15 June 2018, 05:58 AM

শনিবার বাংলাদেশে ঈদ হওয়ার কথা থাকলেও চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মীর্জা খিল দরবার শরীফের হজরত শাহ জাহাঁগীরের (র:) অনুসারীরা শুক্রবার ঈদ উদযাপন করেন।

এ দরবারের অনুসারীরা শবে মেরাজ, শবে বরাত, শবে কদর, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে।

দরবারের অনুসারী চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের চিকিৎসক সরোয়ার হোসাইন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় দরবার শরীফ মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মীর্জাখীল দরবার শরীফের বর্তমান সাজ্জাদানশীল হযরত তাজুল আরেফীনের উপস্থিতিতে ঈদ জামাতে ইমামতি করেন ড. মাওলানা মুহাম্মদ মকছুদুর রহমান।  

সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের মির্জাখীল দরবার শরীফের হযরত শাহ জাহাঁগীরের (র:) অনুসারীরা চারশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন।

এছাড়া হযরত শাহ জাহাঁগীরের অনুসারী চন্দনাইশ, আনোয়ারা, রাউজান, হাটহাজারি, বোয়ালখালী, ফটিকছড়ি, সন্দ্বীপ, বাঁশখালীসহ বিভিন্ন উপজেলার বেশ কিছু বাসিন্দারাও একদিন আগে ঈদসহ ধমীয় অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন।

সাতকানিয়ার মির্জাখীল, চরতী, সুইপুরা, গাটিয়া ডেঙ্গা, চন্দনাইশের হারলা, কাঞ্চননগর, বাদামতল, পশ্চিম এলাহাবাদ, বাইনজুরি, কেশুয়া, কানাইমাদারী, সাতবাড়িয়া, দোহাজারির বেশ কয়েকটি গ্রামের মুসলমানরা শুক্রবার ঈদ উদযাপন করছেন।  

এছাড়াও বাঁশখালীর চাম্বল, কালিপুর, শেখের খীল, ভাদালিয়া, হাছনদণ্ডী, চর বরমা, আলী নগর, পটিয়ার বাহুলী, পারিগ্রাম মোল্লা পাড়া, আলমদার পাড়া, হাইদগাঁও, আনোয়ারার বরুমছড়া, বরকল, তৈলার দ্বীপসহ আরও কিছু গ্রামে আগাম ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।

এদিকে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, হ্নীলা, কুতুবদিয়া, বান্দরবানের লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বেশকিছু বাসিন্দাও আগাম ঈদ পালন করেন।