ঈদের আগে যানজটে নাকাল চট্টগ্রামবাসী

মহাসড়কে গাড়ি চললেও ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ছিল দীর্ঘ যানজট।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 June 2018, 05:44 PM
Updated : 14 June 2018, 05:44 PM

এর জন্য নগরবাসী ট্রাফিক পুলিশের ‘অব্যবস্থাপনাকে’ দায়ী করলেও পুলিশ বলছে, ঘরমুখো মানুষের ভিড়, বৃষ্টি ও অতিরিক্ত গাড়ির চাপেই সড়কে পরিবহনের এই জট সৃ্ষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনভর নগরীর মূল সড়কের পাশাপাশি ছোট সড়কগুলোতেও যানজট দেখা দেয়। কয়েক মিনিটের পথ যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যায়।

যানজটের জন্য নগরীর পোর্ট কানেক্টিং সড়ক ও আগ্রাবাদ এক্সেস রোড বন্ধ থাকার কথা বলেছেন ট্রাফিক পুলিশের বন্দর জোনের পরিদর্শক (প্রশাসন) এমএ কাশেম।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ দুটি সড়ক বন্ধ থাকায় সব গাড়ি চাপ পড়ে মূল সড়কে। তাতেই যানজট সৃষ্টি হয়।”

একই কারণের কথা বলেছেন ট্রাফিকের উত্তর জোনের পরিদর্শক (প্রশাসন) সুভাস চন্দ্র দে।

তিনি বলেন, “একদিকে শেষ কর্মদিবসে ঘরমুখো মানুষের ভিড়, তার ওপরে বৃষ্টি ও শহরের বাইরে থেকে কেনাকাটা করতে লোকজন আসায় গাড়ির চাপ বেশি হয়েছে।”

“তার মধ্যে বাইরে থেকে বিপুল পরিমাণ গাড়ি শহরে প্রবেশ করেছে। যানজট নিরসনের কাজ করতে গিয়ে ট্রাফিক সদস্যরা ব্যস্ত হয়ে পড়ায় সেসব গাড়ি শহরে ঢুকে পড়ে।”

বৃষ্টিপাতের কারণেও গাড়ির গতি কম থাকায় যানজট বেড়ে গেছে বলে জানান সুভাস চন্দ্র দে।

দুপুরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, আগ্রাবাদ, দেওয়ান হাট, ইপিজেড, জিইসি, ষোলশহর, বহদ্দার হাট, আরাকান সড়কে বিভিন্ন পরিবহনের তীব্র চাপ।

এই সড়কগুলোর পাশাপাশি ছোট সড়কগুলোতেও পরিবহনের চাপের কারণে যানজটের মাত্রা অসহনীয় হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ করেন অনেকে।

আরিফুল ইসলাম নামে এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেলা ২টার দিকে বিমানবন্দর থেকে আন্দরকিল্লা আসতে তার সময় লেগেছে সাড়ে তিন ঘণ্টা।

“২০ কিলোমিটারের মতো এ রাস্তায় সাধারণত ৪৫ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা লাগতে পারে। কিন্তু আজ পুরো সড়কে ছিল অসহনীয় যানজট। নেভি হাসপাতাল গেইট থেকে টাইগারপাস মোড় পর্যন্ত পুরো সড়ক জুড়েই ছিল যানবাহনের দীর্ঘ সারি।”