দায়িত্ব নেওয়ার পরদিন বুধবার দামপাড়া পুলিশ লাইনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে নবাগত পুলিশ কমিশনার মাদক নিয়ন্ত্রণ ও জঙ্গি দমনকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করার কথা জানিয়ে বলেন, “বর্তমান সরকারের প্রায়োরেটি মাদক ও জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ। সরকার যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে সেভাবে আমরা কাজ করতে চাই।
“চট্টগ্রাম নগরে মাদক ও জঙ্গিবাদ নির্মূলকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাব। মাদক ব্যবসা কিংবা ব্যবসায়ীদের সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো পুলিশ সদস্য আমার আমলে সিএমপিতে কাজ করতে পারবে না।”
এক প্রশ্নে সিএমপির নতুন কমিশনার বলেন, “অপরাধ শুধু অপরাধীই করে না। অপরাধ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে যারা থাকে তাদের মধ্যে কেউ কেউ থাকে। সেটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
“যারা অপরাধীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সখ্যতা গড়ে তোলেন তাদেরকে আমি পুলিশ সদস্য হিসেবে গণ্য করব না। যেকোনো অপরাধই হোক তাদের আমরা ক্রিমিনাল হিসেবে চিহ্নিত করব।”
অপরাধী কোনো পুলিশ সদস্য মাফ পাবে না মন্তব্য করে তিনি জানান, পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য আসলে তদন্ত করে অপরাধ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি দল পুলিশের কার্যক্রমের অন্যতম অংশ বলেও মন্তব্য করেন মাহাবুবর রহমান।
“সরকারি একটি পদক্ষেপে আমরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছি। সেজন্য সরকারি দল কিংবা ওপর মহল থেকে কোনো তদবির আমি গ্রহণ করব না।”
চট্টগ্রামে খুব বেশি চাঞ্চল্যকর মামলা নেওয়া দাবি করে তিনি বলেন, “মিতু হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আমি খবর নিয়েছি। এর সাথে সম্পৃক্ত বেশির ভাগ গ্রেপ্তার হয়েছে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। আমরা মামলাটির চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি। এটা নিয়ে আমরা বসব। তবে খুব বেশিদিন লাগবে না এটার চূড়ান্ত রূপ দিতে।”
স্কুলছাত্রী তাসফিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেতে পুলিশ অপেক্ষায় আছে বলে জানান নতুন সিএমপি কমিশনার।
নগরবাসীকে সেবা দিতে তিনি তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
১৯৯৫ সালে ১৫তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে নিয়োগ পাওয়া মাহাবুবর রহমান রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার থেকে বদলি হয়ে মঙ্গলবার সিএমপির ২৯তম কমিশনার হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
এর আগে তিনি তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, বরিশাল ও কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার, ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও জোন ও গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনারসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) মাসুদ উল হাসান, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান, অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগমসহ বিভিন্ন জোনের উপ-কমিশনার ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।