বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযানে ধরা পড়ে চট্টগ্রামের খাবারের দোকানগুলোর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং নিম্নমানের খাবার বিক্রির চিত্র।
চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের ‘ক্যান্ডি’ রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে নোংরা তেলে ইফতার সামগ্রী বানানোর অভিযোগে জরিমানা করার পরও আবারও একই তেলে জিলাপি তৈরির প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ক্যান্ডিতে অপরিশোধিত ও নোংরা পাম অয়েল জাতীয় তেল ব্যবহার করে জিলাপি, বেগুনি, ডিম চপ ও আলুর চপ তৈরি হচ্ছিল।
“একারণে তাদের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৩, ৪৫ ও ৫৩ ধারায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রেস্টুরেন্টটির ম্যানেজারকে ওই তেলে তৈরি খাবার বিক্রি না করতে এবং দোকানে থাকা সেরকম তেল অপসারণের নির্দেশ দিই।”
তবে অভিযানের আধ ঘণ্টা পরেই একই তেল দিয়ে ওই দোকানে জিলাপি তৈরি হতে দেখা যায়।
এতে ক্যান্ডি রেস্টুরেন্টকে ‘শেষবারের মত সর্তক’ করে ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “আবার এধরনের অবস্থার প্রমাণ মিললে রেস্টুরেন্টটির লাইসেন্স জব্দ করা হবে।”
এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের দলটি জিইসি মোড়ের মোহাম্মদিয়া হোটেলে অভিযান চালায়। সেখানেও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি হচ্ছিল।
হোটেলটির রান্নাঘরে শ্যাওলা, মেঝেতে কাদাপানি ও ময়লা দেখা যায়। হোটেলের কর্মীদের খালি গায়ে ও পায়ে খাবার তৈরির কাজ করতে দেখতে পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “হোটেলটির রান্নাঘরে পচা মাছ ভেজে রাখা ছিল। ফ্রিজে বাসি মাংস এবং নিম্নমানের তেল ব্যবহার করে ইফতারি তৈরির প্রমাণ মিলে।”
রেস্তোরাঁটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা জেরিনের নেতৃত্বে নগরীর আগ্রাবাদ চৌমুহনী মোড়ের কর্ণফুলী মার্কেটে অভিযান চালায় আরেকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কর্ণফুলী মার্কেটের ১১টি দোকানকে পণ্য তালিকা না রাখায় এবং পণ্য তালিকা না মেনে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করায় ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা।
আগ্রাবাদের একটি হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি এবং সংরক্ষণের দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।