বুধবার ডবলমুরিং থানায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সামসুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ইলিয়াছ ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুল আলমের পরিবারের পাঁচ সদস্য ও অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক বর্তমান পাঁচ কর্মকর্তাকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
বাকি আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নুরুল আলম, চেয়ারম্যান নুরুল আবসার, পরিচালক জয়নব বেগম, শামসুল আলমের স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম, তাহমিনা বেগম, অগ্রণী ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক নুরুল আমিন, সাবেক সহকারী মহা ব্যবস্থাপক মো. জোনায়েদ বোগদাদী, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার উদয় কুমার বিশ্বাস, প্রিন্সিপাল অফিসার শাহজাদুল আলম ও ইয়াসিন ফারুকী।
এদের মধ্যে জোনায়েদ বোগদাদী ও উদয় কুমার বিশ্বাস অবসরে গেছেন।
দুদক কর্মকর্তা শামসুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ভোজ্য তেল পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠান ইলিয়াছ ব্রাদার্সের পরিচালকরা ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জামানতবিহীন ১৫৫ কোটি ৪৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ঋণ নেন।
তিনি বলেন, “অন্য ব্যাংকের দায় দেনার বিষয় গোপন করে ইলিয়াছ ব্রাদার্স ব্যাংকের অর্থায়নে ঋণপত্র খুলে এবং ১১টি চেকের মাধ্যমে ১৯১ কোটি টাকার ভুয়া জামানত দেখিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে ক্রুড পাম অলিন (অশোধিত পাম তেল) আমদানি করে। পরে তা খোলা বাজারে বিক্রি করলেও প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকের ঋণের টাকা পরিশোধ করেনি।”