বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে মামলাটি করেন নগর ছাত্রলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য তানজিরুল হক চৌধুরী।
মামলায় রনির সঙ্গে আজমির হোসেন ওরফে আজমি শাহ এবং দৈনিক আজাদীর বার্তা সম্পাদককে আসামি করা হয়েছে।
তবে দৈনিক আজাদীর বার্তা সম্পাদকের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
তানজিরুল হক চৌধুরীর আইনজীবী আনোয়ারা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার একটি মামলায় তানজিরুল গ্রেপ্তার হন। কিন্তু তখন পত্রিকায় ইয়াবাসহ তার গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশিত হয়।
“সেই খবর ফেসবুকে শেয়ার করে অন্য দুই আসামি। তাই আমার মক্কেলের মানহানির অভিযোগে দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে।”
আইনজীবী আনোয়ারা বেগম বলেন, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত শেষে পরবর্তী নির্ধারিত দিনে প্রতিবেদন জমা দিতে বাকলিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ২১ জুন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তানজিরুল হক চৌধুরী।
এ ঘটনার বিষয়ে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদী ১৬ ফেব্রুয়ারি ‘চরচাক্তাইয়ে ছাত্রলীগ নেতসহ গ্রেপ্তার ৩’ শীর্ষক শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে তাদের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধারের কথা উল্লেখ করা হয়।
মামলার আসামিদের মধ্যে আজমির হোসেন ওরফে আজমি শাহ নগরীর বাকলিয়ার শহীদ এনএমজে কলেজ ছাত্রলীগের নেতা এবং প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী।
মামলার বাদী তানজিরুল হক চৌধুরী নগর ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল আজিম রনি বলেন, “পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তা অনেকেই ফেসবুকে শেয়ার দেন। আমিও দিয়েছি। মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে আমার সক্রিয় অবস্থান সম্পর্কে চট্টগ্রামে সবাই জানেন।
“দলের ভেতরের একটি পক্ষ যথারীতি রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলা করিয়েছে।”