এবছর এসএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫০ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৮৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
গত পাঁচ বছরের এর আগে কম পাসের হার ছিল ২০১৫ সালে, ৮২ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এসএসসিতে এবছর কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও।
রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তাওয়ারিত আলম।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবছর এসএসসিতে অংশ নিয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজার ১৪৮ জন। পাস করেছে এক লাখ ২০ হাজার ৩৭ জন।
গতবার এক লাখ ১৭ হাজার ৮৯৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছিল ৯৯ হাজর ২২ জন শিক্ষার্থী।
এর আগে ২০১৫ সালে ৮৮ হাজার ৪৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছিল ৭৩ হাজার ২২১ জন। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল সাত হাজার ১১৬ জন।
এবছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৯০ শতাংশ, মানবিকে ৬০ দশমিক ১৩ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
গতবছর বিজ্ঞানে ৯২ দশমিক ০৭, মানবিকে ৭৩ দশমিক ৩৬ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৮৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল।
এবছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৭ হাজার ২৮৫ জন, মানবিকে ২৬ জন ও ব্যবসায় শিক্ষায় ৭৮৩ জনসহ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
গতবারের মত এবছরও চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েছে কলেজিয়েট স্কুলের ৩৯৭ জন ও সরকারি মুসলিম হাই স্কুলের ৩২৬ জন শিক্ষার্থী।
এ দুই স্কুল থেকে যথাক্রমে ৪২৫ ও ৪০৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে, পাস করেছে সবাই।
এছাড়া বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা (বাওয়া) উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৭৯, ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ২৭৩, নাসিরবাদ সরকারি (বালক) উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৬৫, নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২৪৩, চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪২, চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৭০, বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪৫ জন ও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৩৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।