পাহাড়ে হত্যাকাণ্ডের নিন্দায় বিএনপি

রাঙামাটিতে দুই দিনে এক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2018, 03:45 PM
Updated : 5 May 2018, 03:45 PM

শনিবার সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পাবর্ত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক দলগুলোর সশস্ত্র তৎপরতায় শক্তিমান চাকমাসহ ছয় জন নিহত এবং বেশ কিছু সংখ্যক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা, নরসিংদীর রায়পুরার বাঁশখালী ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে দিনে দুপুরে গুলি করে হত্যা করার ঘটনা আওয়ামী দুঃশাসনের এক ভয়ংকর দৃষ্টান্ত।

“এসমস্ত রক্তাক্ত ঘটনার জন্য সরকারই দায়ি। আমি দলের পক্ষ থেকে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম ও নরসিংদীতে যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এর তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করছি।”

গত বৃহস্পতিবার গুলিতে নিহত হন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) নেতা ও নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা। পরদিন শুক্রবার তার দাহক্রিয়ায় অংশ নিতে যাওয়ার পথে বেতছড়িতে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করা হয় পাঁচজনকে।

রিজভী বলেন, “সারাদেশের মানুষ এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, জীবন আশঙ্কায় ভুগছে। এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কারো নিরাপত্তা থাকবে না।”

গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর পক্ষের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্বিচারে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান রিজভী।

তিনি বলেন, “নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জেতাতে সরকারের প্রশ্রয়ে পুলিশ হয়ে উঠেছে স্বেচ্ছাচারী, অনিয়ন্ত্রিত ও বেপরোয়া। ভরাডুবির ভয়ে সরকার দুইটি সিটিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না। গণমাধ্যমে একতরফা ফলাফল ঘোষণা করাই প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায়।”

আবারো গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুনুর রশীদ ও খুলনা পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরের প্রত্যাহারের দাবি জানান রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মামুন আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আসাদুল করিম শাহিন, মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।