আমাদের পানিতে ‘দোষ’ নেই: চট্টগ্রাম ওয়াসা

চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরে জন্ডিসের প্রকোপ বাড়ার পর চট্টগ্রাম ওয়াসা বলছে, তাদের পানিতে কোনো ‘দোষ’ নেই।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2018, 05:46 PM
Updated : 3 May 2018, 05:46 PM

হালিশহরে অসুস্থদের এবং পানির নমুনা পরীক্ষায় আইইডিসিআরের গবেষক দলের যাওয়ার পরদিন বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল্লাহ একথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমরা ওই এলাকার ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে কোনো ধরণের জীবাণু পাইনি।

“জন্ডিস ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির পর হালিশহর এলাকার বিভিন্ন বাড়ির পানির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছি। এতে ক্ষতিকারক কোনো ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়নি। আমাদের পানিতে কোনো দোষ নেই।”

হালিশহরের সবুজবাগ এলাকায় জন্ডিসের প্রকোপ বৃদ্ধির পর বুধবার ঢাকা থেকে রোগতত্ত্ব, রোগ নিরূপণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এর পাঁচ সদস্যের গবেষক টিম ওই এলাকা পরিদর্শনে আসেন এবং জন্ডিস আক্রান্ত ২৫ জন রোগীর রক্ত এবং ওইসব এলাকার পানির নমুনা সংগ্রহ করেন।

এছাড়া ওই এলাকায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন।

গবেষকদের ধারণা, পানির কারণে এধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারেন তারা।

গত এপ্রিলে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল ইনফেকসার্স ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে হালিশহর এলাকার ৩০২জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।

আর হালিশহর এলাকার অধিকাংশ বাসাবাড়ির লোকজন ওয়াসার পানি ব্যবহার করেন। এ তথ্য গণমাধ্যমে আসার একদিনের মাথায় চট্টগ্রাম ওয়াসা সংবাদ সম্মেলন করল।

ফজলুল্লাহ হালিশহরের ওইসব এলাকার বাসা বাড়ির পানির ট্যাংক ‘বৈজ্ঞানিক উপায়ে পরিষ্কার’ করার জন্য স্থানীয়দের অনুরোধ জানান। এ ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করবে বলেও জানান তিনি। জনগণকে পানি নিয়ে আতংকিত না হবার পরামর্শও দেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে ফজলুল্লাহ বলেন, “পানি শোধনাগারে বিভিন্ন পরিশোধন ধাপ অনসরণ করে সর্বশেষ ধাপে ক্লোরিন গ্যাস প্রয়োগের মাধ্যমে পানিতে উপস্থিত ব্যাকটিরিয়াসহ অন্যান্য সকল জীবাণু বিনাশ নিশ্চিত করে তা সরবরাহ করা হয়।”

পানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিমাসে নগরীর ১০টি স্থান থেকে পানির নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয় বলেও জানান তিনি।

হালিশহর এলাকায় জন্ডিস হওয়ার খবর পাওয়ার পর পানির নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করেও ব্যাকটিরিয়ার সন্ধান মেলেনি বলে দাবি করেন ওয়াসার এমডি।

তিনি বলেন, শুধু নগরীর সরাইপাড়ার একজন গ্রাহকের ওভারহেড পানির ট্যাংক থেকে জীবাণু পাওয়া গেছে।