নিহত নটরাজ চৌধুরী (২০) পাঁচলাইশ থানার নাজির পাড়ার দেবাশীষ চৌধুরীর ছেলে।
নটরাজের শুক্রবার লাশ উদ্ধার করা হলেও শনিবার গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি জানতে পারেন।
দেবাশীষ চৌধুরীর দাবি, স্কুল জীবনের সহপাঠীর সঙ্গে প্রেম থাকায় ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যরা তার ছেলেকে হত্যা করেছে। যে বাসা থেকে নটরাজের লাশ উদ্ধার করা হয়, সেটি ওই তরুণীর বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে পুলিশের দাবি ‘বান্ধবীর’ সঙ্গে ঝগড়ার জেরে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন নটরাজ।
নটরাজ নড়রীর কুলগাঁও সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দেওয়ার কথা থাকলেও দেননি।
নগরীর সিডিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ার সময় ওই মেয়ের সঙ্গে নটরাজের পরিচয় হয় বলে জানিয়েছেন তার বাবা দেবাশীষ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্ধুর বাসায় যাওয়ার কথা বলে নাজির পাড়ার বাসা থেকে বের হয় নটরাজ। এরপর সে রাতে ফেরেনি।
“শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই মেয়ে ফোন করে বলে- ‘বাবা রাজ (নটরাজের ডাকনাম) নেই। সে গলায় ফাঁস দিয়েছে’।”
ওই তরুণী কেন তাকে ‘বাবা’ সম্বোধন করেছে জানতে চাইলে দেবাশীষ বলেন, “হয়ত নিজেকে আমার ছেলের বৌ দাবি করেই সে আমাকে বাবা ডেকেছে। তবে তারা বিয়ে করেছিল বলে আমার জানা নেই।
“বছর দুয়েক আগেও একবার মেয়ের বাবা নটরাজের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দেয়। সেই মামলায় এক মাস জেলে ছিল আমার ছেলে। তারপর থেকে সে গোপনে যোগাযোগ রাখত।”
শুক্রবার সকালে ফোন পেয়ে থানায় যান দেবাশীষ চৌধুরী। এরপর দুপুরে রাহাত্তার পুল এলাকার মাজার গেট সাদেক শাহ আবাসিকের এক নম্বর ভবনের চতুর্থ তলার বাসা থেকে নটরাজের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে নটরাজ আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে। তার বান্ধবীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।”
দেবাশীষ চৌধুরীর ভাষ্য, ওই তরুণী ফোনে তাকে জানিয়েছেন, নটরাজ তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজায় আটকে গলায় ফাঁস দিয়েছেন।
“তার পরিবারের সদস্যরা আগেও ফোনে হুমকি দিয়েছিল। ছেলেকে তার কাছ থেকে দূরে না সরালে মেরে ফেলবে। তাই ধারণা করছি ছেলেকে ডেকে নিয়ে খুন করা হয়েছে।”
এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে পুলিশ।
নটরাজের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।