উন্নয়নশীল হওয়ার যাত্রায় মানব সম্পদ উন্নয়ন বড় কাজ: মেনন

উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চলমান অভিযাত্রায় ‘মানব সম্পদের উন্নয়ন’ খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2018, 03:32 PM
Updated : 20 April 2018, 03:32 PM

শুক্রবার সকালে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩১৫ বি-৪ এর জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের অভিযাত্রায় আছে। এবং এই অভিযাত্রাটি যদি টেকসই করতে হয় আমাদেরকে আগামী ৬ বছর খুব দৃঢ়তার সাথে অনেক কার্যাবলী এগিয়ে নিতে হবে।

“সেই ক্ষেত্রে একটি বড় কাজ মানব সম্পদের উন্নয়ন। যদিও আমরা সেই সূচকে অনেকদূর এগিয়ে আছি।” 

তিনি বলেন, ছয় বছর এ লক্ষ্যে কাজ করে উন্নয়নশীল অবস্থানে দৃঢ় ভাবে দাঁড়াতে পারব। এবং ২০২১ সালে সুর্বণ জয়ন্তীতে বিশ্বে মাথা উঁচু করে বাংলাদেশ সে আনন্দ উদযাপন করবে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, অটিজম ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধীতার বিষয়ে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক জায়গায় নিয়ে যেতে সক্ষম হইনি।

এধরণের প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে লায়নদের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তা খুব বড় উদ্যোগ হবে।

“সমাজের বঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়াদের আরও বেশি করে সমাজে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থায় এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়ে আসতে হবে। উপার্জক্ষম কাজে সম্পৃক্ত করে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।” 

রাশেদ খান মেনন বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসার জন্য শিক্ষা এবং চাকরি ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি জেলায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুল আছে। তবে আমরা এখনো অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছি।

“দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের উচ্চ শিক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্রেইল পদ্ধতির বই এখনো সহজলভ্য হয়নি। শুধু তাই নয়, তাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে অনেক অসুবিধার সৃষ্টি হয়। কিন্তু আজকের তথ্য-প্রযুক্তির যুগে তাদের কাছে বেশি করে সুযোগ পৌঁছে দিতে হবে।”

শিক্ষা, স্বাস্থ্যম শিশু সুরক্ষা, পুষ্টি ও প্রতিবন্ধীতার ক্ষেত্রে লায়নদের আরও বেশি কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

লায়নের অনেক কাজের মধ্যে অন্ধত্ব বিলোপের কাজে অবদানের কথা স্বীকার করে ধন্যবাদ দেন মন্ত্রী।

পাশাপাশি চট্টগ্রামে লায়ন্স’র প্রতিষ্ঠাতা এল কে সিদ্দিকীর মুক্তিযুদ্ধে অবদান এবং ‍যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন মন্ত্রী।

লায়ন্স এর জেলা গর্ভন মনজুর আলম মঞ্জুর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন লায়ন্স ক্লাবের আন্তর্জাতিক পরিচালক কাজী আকরাম উদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস জেলা গর্ভনর নাসির উদ্দিন চৌধুরী, সেকেন্ড ভাইস জেলা গর্ভনর কামরুন মালেক প্রমুখ।