মেয়ে নবজাতক বদলে দেওয়া হল মৃত ছেলে

অসুস্থ কন্যা নবজাতককে হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার পরিবর্তে মৃত একটি ছেলে শিশুকে অভিভাবকের কাছে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2018, 03:16 PM
Updated : 18 April 2018, 03:16 PM

মৃত শিশুটিকে দাফনের সময় বিষয়টি ধরা পড়ার পর অবশ্য কন্যা নবজাতকটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

কন্যা নাবজাতকের চাচা আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গত ১৪ এপ্রিল নোয়াখালীতে তার ভাবী রোকসানা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। শিশুটি অসুস্থ হওয়ায় পরে তাকে চট্টগ্রাম পাঠানো হয়।

শিশুটিকে পাঁচলাইশে নিয়ে গিয়ে ‘চাইল্ড কেয়ার’ নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “চারদিন পর মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় আমাদের শিশুটি মারা গেছে। তারা লাশও আমাদের বুঝিয়ে দেন।”

আলমগীরের জানান, লাশ নোয়াখালীতে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়ার পর তারা বুঝতে পারেন, নবজাতক বদলে গেছে।

এরপরই তারা শিশুর লাশ পাঁচলাইশ থানায় অভিযোগ করতে যান। কিন্তু থানায় তাদের অভিযোগ গ্রহণ না করে সাধারণ ডায়েরি নেয়।

পুলিশের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগিতার’ অভিযোগ করে আলমগীর বলেন, “পুলিশ বিষয়টি প্রথমে বিশ্বাস করতে না চাইলে আমরা তাদের ল্যাব পরীক্ষার বিভিন্ন কাগজপত্র দেই। পরে ভোরে পুলিশ জানায় আমাদের নবজাতক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।”

বর্তমানে নবজাতকটি অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে জানান তিনি।

তবে অসহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, “আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসার পর আমরা হাসপাতালে তদন্ত করতে গিয়ে কন্যা নবজাতকটিকে চিকিৎসাধীন দেখতে পাই।

“তদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভুলের কারণে নবজাতক বদলের ঘটনা ঘটেছে বুঝতে পারি এবং ছেলে নবজাতকের মা-বাবার সঙ্গে কথা বলি। দুইপক্ষের সঙ্গে কথা বলে লাশটি তার বাবা-মার কাছে ও চিকিৎসাধীন কন্যা শিশুটিকে তার বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করি।”

নবজাতক বদলের প্রসঙ্গে চাইল্ড কেয়ার হাসপাতালের ম্যানেজিং পার্টনার ফাহিম হাসান রেজা জানান, ১৪ এপ্রিল ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুই নবজাতককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। দুই শিশুকেই নোয়াখালী থেকে আনা হয়েছিল।

“গতকাল একটি নবজাতক মারা যাওয়ার পর শনাক্ত না করেই তাড়াহুড়ো করে তারা লাশ নিয়ে যায়।

“পরে বিষয়টি তারা আমাদের জানালে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে নবজাতক দুইটি নিজ নিজ অভিভাককের কাছে হস্তান্তর করি।”