রোববার বিকালে চট্টগ্রামের পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে শোকসভা করে নিহত হারুণর রশিদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের দ্বিতীয় কিস্তির চেক তুলে দেন বিস্ফোরিত ট্যাংকারের মালিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইরানিয়ান ট্যাংকার কোম্পানি (এনআইটিসি)।
এই কিস্তিতে হারুণের স্ত্রী ও সন্তানদের হাতে তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়।
গত ৬ জানুয়ারি চীনের পূর্ব উপকূলে এক লাখ ৩৬ হাজার টন তেল ইরান থেকে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার পথে সিএফ ক্রিস্টাল নামের মালবাহী জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে বিস্ফোরিত পানামার পতাকাবাহী এমটি সানচি নামের তেলবাহী ট্যাংকার। দুর্ঘটনায় ৩০ ইরানী ও দুই বাংলাদেশি নাবিকসহ ৩২ জন নিহত হন।
বাংলাদেশের দুইজনের মধ্যে হারুণ চট্টগ্রামের ও সাজিব আলী মৃধা রাজবাড়ির বাসিন্দা।
শোকসভায় জানানো হয়, এনআইটিসির পক্ষ থেকে হারুণের পরিবারকে আগেও এক লাখ ৫৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়া সাজিব আলী মৃধাকে আগেই চেক হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এনআইটিসির পরিচালক আলী রেজা সাফারি জানান, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নিহত বাংলাদেশি দুইজন ক্ষতিপূরণের আরও টাকা পাবেন।
এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক হারুণ ২০০৭ সাল থেকে জাহাজে কর্মরত ছিলেন বলে জানান তার বড় ভাই শামসুল আলম টিপু।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, চার ভাইয়ের মধ্যে হারুণ তৃতীয়। তাদের ছোট ভাইও একটি বিদেশি জাহাজে কর্মরত। আগে তিনিও জাহাজে কাজ করতেন। তবে ২০০৮ সালে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখন অবসরে আছেন।
হারুণকে তিনি জাহাজের কাজে নিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানান টিপু।
জাহাজটির রিক্রুটিং এজেন্ট এসকে ইঞ্জিনিয়ারিং শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিংয়ের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন এনআইটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ মোঘামি, মেরিন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহ আলম, বাংলাদেশ শিপিং ম্যানিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গাফফারসহ এনআইটিসির কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশে শিপিং ম্যানিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গাফফার জানান, বাংলাদেশসহ অনেক দেশের জাহাজে দুর্ঘটনায় হতাহতদের অনেকেই টাকা পাননি। সেজন্য তাদের অনেক সালিশও করতে হয়েছে।
এক্ষেত্রে এনআইটিসি তাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে টাকা পরিশোধ করেছে।
হারুণের দুই সন্তানের মধ্যে মেয়ে নবম শ্রেণিতে ও ছেলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।