নতুনের আবাহনে চট্টগ্রামে বর্ষবরণ

নতুনকে আহ্বান জানিয়ে চট্টগ্রামে হলো বাংলা নতুন বছরকে বরণের উৎসব।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 April 2018, 11:52 AM
Updated : 14 April 2018, 11:52 AM

শনিবার পহেলা বৈশাখের ভোর থেকেই নগরীর ডিসি হিল, সিআরবি শিরিষতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় নানা বয়সী মানুষের অংশগ্রহণে বাংলা নতুন বছরকে বরণের অনুষ্ঠান পরিণত হয় প্রাণের উৎসবে। 

ডিসি হিল ও শিরিষতলায় বর্ষবরণ উৎসবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়। নানা রঙের পোশাকে উৎসবে আসা মানুষের অংশগ্রহণে যেন রঙের ঢেউ লাগে গ্রীষ্মের প্রথম দিনটিতে। গরম উপেক্ষা করে তারা মেতে ওঠে উৎসবের আনন্দে।

ডিসি হিলে সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের আয়োজনে বর্ষবরণের উৎসবের সূচনা হয় সাংস্কৃতিক সংগঠন রক্তকরবীর রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে।

আর সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে শিরিষতলায় নববর্ষের সূচনা হয় ভায়োলিন বাদনের মধ্য দিয়ে।

দুই স্থানেই ছিল বিভিন্ন সংগঠনের গান, আবৃত্তি, নৃত্য পরিবেশনা।

নগরীর ডিসি হিলে দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সুব্রত বড়ুয়া বলেন, “গেল বছরের সকল দুঃখ-কষ্ট পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। পুরাতন বছরের যেসব অর্জন সেসব সাথে নিয়ে নতুন উদ্দীপনায় সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।”

তিনি বলেন, “পহেলা বৈশাখ আমাদের মানে বাঙালির একমাত্র সার্বজনীন উৎসব। এ উৎসবে বন্ধুবান্ধবের বাইরে সন্তান-স্ত্রীকে নিয়ে শামিল হয়েছি।”

চাকরিজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, “জানান, পহেলা বৈশাখ আমাদের চিরায়ত ঐতিহ্যের উৎসব। এ উৎসবে এসে অন্যরকম এক অনুভূতি হয়।”

সম্মিলিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন পরিষদের সংগঠক প্রণব চৌধুরী জানান, রক্তকরবী ছাড়াও বর্ষবরণের দিনে বিভিন্ন সংগঠন সংগীত, দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে। বিকাল পাঁচটায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় বলে জানান তিনি।    

অপরদিকে শিরিষতলাতেও নানা আয়োজন ছিল বর্ষবরণে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কথামালা ছাড়াও আয়োজন করা হয় বাঙালির ঐতহ্যবাহী কাবাডি খেলার। ছিল সাহাবুদ্দিনের বলিখেলা।

ডিসি হিল ও শিরিষতলা ছাড়াও কর্ণফুলীর তীরে, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় পহেলা বৈশাখ উদযাপনের অনুষ্ঠান হয়।

এর বাইরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের সদস্যদের নিয়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।