শুক্রবার সকালে উপজেলার মধ্যম শাকপুরার ঘোষখীল গ্রামের খালপাড়ের জঙ্গলে ঢুকে বাঘটি ধরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
স্থানীয় কয়েকজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘোষখীল গ্রামে মেছো বাঘের আনাগোনা লক্ষ করছিলেন তারা। বাঘের আক্রমণে গৃহপালিত হাঁস-মুরগির ক্ষতি হয়েছে।
গ্রামবাসীর ওপরও ওই বাঘ আক্রমণ করেছিল বলে তাদের অভিযোগ।
তবে বন বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মেছো বাঘ মূলত হাঁস-মুরগি ও ছোট প্রাণি খায়।
“স্থানীয়রা হয়ত আতঙ্কিত হয়ে বাঘটি পিটিয়ে মেরেছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন বলেন, বন বিভাগকে জানানোর পর পটিয়া বনবিভাগ থেকে লোক পাঠানো হয়।
বোয়ালখালী উপজেলা চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের পটিয়া রেঞ্জের অধীনে।
বোয়ালখালী সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজম বলেন, তারা বিকাল ৩টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
“গিয়ে দেখি, বোয়ালখালী খাল সংলগ্ন বনের লতা-গুল্ম সব কেটে ফেলা হয়েছে। মেছো বাঘটি মেরে স্থানীয়রা খালে ভাসিয়ে দিয়েছে বলে জানতে পারি।”
তিনি বলেন, গত বছর মধ্যম শাকপুরা এলাকার একটি মুরগি খামারের কর্মচারীরা তিনটি মেছো বাঘ ধরে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন। সেগুলো পরে করলডেঙ্গা পাহাড়ে অবমুক্ত করা হয়।