মঙ্গল শোভাযাত্রা হারাম: হেফাজত

বাংলা নববর্ষে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ‘হারাম’ উল্লেখ করে তাতে অংশ না নিতে মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2018, 05:30 PM
Updated : 12 April 2018, 05:30 PM

পহেলা বৈশাখের একদিন আগে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান কট্টর ইসলামী সংগঠনটির মহাসচিব জুনাইদ বাবুনগরী।

তিনি পহেলা বৈশাখ উদযাপনকে ‘ঈমান-আক্বীদাবিরোধী হিন্দুয়ানী শিরকী অপসংস্কৃতি’ দাবি করে তা বন্ধ করতেও সরকারের কাছে দাবি জানান।

বাংলা বর্ষবরণের অন্যত অনুসঙ্গ হয়ে ওঠা মঙ্গল শোভাযাত্রা এখন বিশ্বে বাংলাদেশকে মেলে ধরার অন্যতম প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার হিসেবে ঢাকায় শুরু হওয়ার মঙ্গল শোভাযাত্রা এখন সারাদেশে অপশক্তির বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক বাংলার লড়াইয়ের প্রেরণা হিসেবে কাজ করছে।

২০১৬ সালে জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেসকো বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

বাবুনগরী বলেন, “নতুন বছরের প্রথম দিনে নারী-পুরুষের মুখে উল্কি আঁকা, বড়বড় পুতুল, হুতুম পেঁচা, হাতি-কুমির-সাপ-বিচ্ছু ও ঘোড়াসহ বিভিন্ন জীব-জন্তুর মুখোশ পরা প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ একসঙ্গে অশালীন পোশাক পরে অশ্লীল ভঙ্গিতে ঢোল বাদ্যের তালে তালে নৃত্য করে র‌্যালি করার হিন্দুয়ানি যে রীতি রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলমানদের ওপর জোর করে চালু করা হচ্ছে, তা ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম।”

এভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রায়  অংশগ্রহণ করলে ঈমান থাকবে না বলেও দাবি করেন তিনি।

পহেলা বৈশাখের আয়োজনে নারীদের ‘কোনো নিরাপত্তা নেই’ দাবি করে এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকার জন্যও দেশের নারী সমাজের প্রতি আহ্বান জানান নারীর ক্ষমতায়নবিরোধী হেফাজতের মহাসচিব।

“বেশ কয়েক বছর ধরে বহুবার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় নারীদের ওপর সংঘবদ্ধ যৌন নির্যাতন ও সম্ভ্রমহানির মত ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। যা নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেলা ও চলাফেরার কুফল। এসব অনুষ্ঠানে নারীদের নিরাপত্তা তো নেই বরং ক্ষতির আশংকাই বেশি।”