সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর ষোলশহর স্টেশনে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন আটকে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
প্রায় দুই থেকে আড়াইশ শিক্ষার্থী তথন স্টেশনে ছিল। তারা প্রায় সবাই চবির বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রছাত্রী। এরপর থেকে নগরীর সাথে ২২ কিলোমিটার দূরের শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৭টা ও সাড়ে ৮টায় নগরীর বটতলী স্টেশন থেকে দুটি শাটল ট্রেন ছেড়ে গেলেও তাতে অন্য দিনের তুলনায় শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল কম।
বেলা দেড়টা পর্যন্ত ট্রেন অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা ষোলশহর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে থাকে।
এসময় সেখানে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের কোনো বিরোধ হয়নি।
এদিকে চবি ক্যাম্পাসে সকাল থেকেই ক্লাশ বর্জন কর্মসূচিতে অংশ নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
চবির বিভিন্ন ছাত্রাবাস থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে বেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় জড়ো হয়।
সেখানে শুরুতে মানববন্ধন করলেও পরে মিছিল নিয়ে তারা ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত যায়।
জিরো পয়েন্টে পুলিশ তাদের আটকে দিলে আন্দোলনকারীরা আবারও মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে জড়ো হয়।
“শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে শান্তিপূর্ণভাবে সব সমাধান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্লাশ-পরীক্ষা স্বাভাবিক নিয়মেই হয়েছে।”
তবে চবির বাংলা বিভাগে পূর্ব নির্ধারিত একটি পরীক্ষা ‘শিক্ষার্থী স্বল্পতার’ কারণে অনুষ্ঠিত হয়নি বলে স্বীকার করেছেন সহকারী প্রক্টর।
রোববার রাতে রাজধানীর শাহবাগে কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের পর সোমবার সারাদেশে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছিল তারা।
এর আগে রোববার রাতে বন্দর নগরীর ষোলশহর রেল স্টেশন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে এবং চবির এক নম্বর গেট এলাকায় সমাবেশ করে আন্দোলনকারীরা।