গণমিছিলের ডাক দিয়ে চবির শাটল ট্রেনে হিযবুতের পোস্টার

খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে গণমিছিলের ডাক দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে পোস্টার সেঁটেছে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 April 2018, 12:23 PM
Updated : 8 April 2018, 12:23 PM

রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়গামী দুইটি শাটল ট্রেনের বিভিন্ন বগির ভেতরে-বাইরে এসব পোস্টারগুলো দেখা গেলেও বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ‘নজরে আসেনি’।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আল আজগর চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ এই সংগঠনটির কোনো কার্যক্রম নেই। সংগঠনটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কয়েকজন শিক্ষার্থী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছে।”

ক্যাম্পাসে কোথাও এ ধরনের পোস্টার লাগানো হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শাটল ট্রেন বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে রাতে অবস্থান করে না। শহরে সেগুলো লাগানো হতে পারে। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।”

সাঁটানো পোস্টারগুলোতে লেখা হয়েছে- ‘২৮ রজব খিলাফত পতন দিবস। খিলাফতে রাশিদাহ’র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে গণমিছিল।’

১৩ এপ্রিল শুক্রবার জুমার পর ঢাকা, চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ থেকে গণমিছিল হবে বলে পোস্টারে উল্লখ করা হয়েছে।

পোস্টারে আরও লেখা রয়েছে- “হে মুসলিমগণ! ‍খিলাফতে রাশিদাহ’র দাবিতে রাজপথে নামুন, খিলাফতে রাশিদাহ’র দাবিকে আরও বেগবান করুন, খিলাফতে রাশিদাহ পুনঃপ্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহরীরকে নুসরাহ প্রদানে সেনাবাহিনীর নিকট দাবি তুলুন।”

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, শাটল ট্রেনে কারা পোস্টার লাগিয়েছে সে ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশে হিযবুত তাহরীরের কর্মকাণ্ড শুরু হয় ২০০০ সালের কিছু পরে। ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সংগঠনটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে।

তবে নিষিদ্ধ হওয়ার নয় মাসের মাথায় ২০১০ সালের ১৬ অগাস্ট সংগঠনটি তাদের ‘খসড়া সংবিধান’ প্রকাশ করে, যেখানে ‘ইসলামী খিলাফতভিত্তিক’ রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনার কথা রয়েছে।

নিষিদ্ধ অবস্থায়ও সংগঠনটি গোপনে পোস্টার সাঁটানো ও প্রচারপত্র বিলি করে প্রায়ই। গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়েও পোস্টারিং করেছিল।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে স্পস্ট অবস্থান নেওয়া সংগঠনটি খিলাফত কায়েমে বিশ্বাসী। বর্তমানে বিশ্বের ৪০টি দেশে সংগঠনটির কার্যক্রম রয়েছে।