বৃহস্পতিবার নগর ভবনে করপোরেশনের ৩২তম সাধারণ সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক সংলগ্ন ডাস্টবিন সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময়ও বেঁধে দেন মেয়র।
তিনি বলেন, অপসারণ করা এসব ডাস্টবিন সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর কর্তৃক নির্ধারিত জায়গায় স্থানান্তর করা হবে।
কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে মেয়র আ জ ম নাছির বলেন, “তুলনামূলক কম জনচলাচল বা সমাগম স্থলে ডাস্টবিন স্থাপনের জন্য স্থান নির্বাচন করুন। এলাকার প্রধান সড়কে বিদ্যমান ডাস্টবিনগুলো আমরা সেখানে স্থানান্তর করব।”
দ্রুত কাউন্সিলরদের স্থান নির্বাচন করে তালিকা জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “নগরীকে এক মাসের মধ্যেই ক্লিন সিটিতে রূপান্তর করতে হবে। এই লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
“নগরীর সৌন্দর্য রক্ষার স্বার্থে ওয়ার্ডগুলোতে নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে পোস্টার-ব্যানার-প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন ইত্যাদি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। যখন তখন যত্রতত্র সৌন্দর্যহানিকর পোস্টার-ব্যানার লাগানো যাবে না।”
মেয়র বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও নির্দিষ্ট সেবার বাইরে সিসিসি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা অটুট রেখেছে।
নগরীর কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ প্রকল্পে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা, উন্মুক্ত স্থান আধুনিকায়নে ৪০০ কোটি টাকা, বাস-ট্রাক টার্মিনাল ও অন্যান্য বিষয়ে এক হাজার এক কোটি টাকা, সেবকদের জন্য ভবন নির্মাণে ২৩৩ কোটি টাকা এবং এলইডি বাতি ও সিসি ক্যামরা প্রকল্পে ৫৬০ কোটি টাকা সরকারের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে বলে সভায় জানান মেয়র।
সিসিসি সচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।