বন্দরের স্ক্যানিংয়ে অভিজ্ঞদের রেখে নতুন নিয়োগের দাবি

চট্টগ্রাম বন্দরের স্ক্যানিং কার্যক্রমে অভিজ্ঞদের বহাল রেখেই নতুন অপারেটর নিয়োগ অথবা কাস্টমসের অধীনে পৃথক স্ক্যানিং ডিভিশন চালুর দাবি জানিয়েছেন কর্মরতরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2018, 10:03 AM
Updated : 22 March 2018, 10:03 AM

বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের আওতাধীন ‘স্ক্যানার প্রজেক্টে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ’ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলন থেকে দাবি মানা না হলে যে কোনো সময় একযোগে তারা ‘পদত্যাগে বাধ্য’ হবেন বলেও জানানো হয়।

সাইট সুপারভাইজার সোহেল রানা বলেন, বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রশিক্ষণহীন ও অনভিজ্ঞ লোকজনকে দিয়ে স্ক্যানিং এর কাজ করলে তা বিপদজনক হতে পারে। নতুন যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে তাতে অভিজ্ঞ জনবল নিয়োগের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

“যে প্রতিষ্ঠানই কাজ পাবে সেক্ষেত্রে আমাদের রাখা হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।”

সোহেল বলেন, “আমাদের জানামতে, কাস্টমস পৃথক স্ক্যানিং ডিভিশন গঠনের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছে। কাস্টমসের তত্ত্বাবধানে চালু থাকলে প্রজেক্টের খরচ বাবদ দেশের প্রচুর অর্থ সাশ্রয় হবে।

“যেভাবেই হোক স্ক্যানিং প্রজেক্টে আমাদের চাকরি বহাল রাখা হোক।”

স্ক্যানার প্রজেক্টের আওতায় চট্টগ্রাম বন্দরে চারটি কন্টেইনার স্ক্যানিং মেশিন এবং ১০টি রেডিয়েশন ডিটেকশন ইকুইপমেন্ট চালু আছে।

২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এসজিএস নামের একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে অপারেটর নিয়োগ করা হয়। আগামী ২২ এপ্রিল ওই চুক্তি শেষ হবে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে এ কাজে নতুন অপারেটর নিয়োগের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরমধ্যে তিনবার দরপত্র সংশোধনও করা হয়েছে।

স্ক্যানার প্রজেক্টের আওতায় ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন। ইতিপূর্বে তাদের সরকারি খরচে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিস্টেম অপারেটর জামাল উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, একটি পক্ষপাতমূলক টেন্ডারের মাধ্যমে নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। যেখানে প্রচুর অসঙ্গতি রয়েছে।

“এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর হাই কোর্টে আমরা একটি রিট আবেদন করি যা বর্তমানে বিচারাধীন আছে। রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর আমাদের বাদ দিয়ে স্পর্শকাতর স্ক্যানিং মেশিন পরিচালনা কতটুকু যৌক্তিক হবে?”

জামাল উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, এসজিএস এর সাথে চুক্তির শর্ত অনুসারে কর্মরত জনবলের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুসারে বিদ্যমান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অাত্মীকরণ করা হোক।

“এতে করে চলমান স্ক্যানিং কার্যক্রম একদিনের জন্যও বিঘ্নিত না করে এসজিএস এর কাছ থেকে কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর সম্ভব হবে। কাস্টমসের নিজস্ব তত্বাবধানে চালু থাকলে বর্তমান খরচের এক তৃতীয়াংশ সাশ্রয় হবে।”

জালাল বলেন, “আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে দ্রুত যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে যে কোনে সময় একযোগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। এতে স্ক্যানিং কার্যক্রম বিঘ্নিত হতে পারে, যা আমরা কখনোই চাই না।”

অন্যদের মধ্যে মিজানুর রহমান মিল্টন, বদরুল আহমদ সিদ্দিকী, সালাউদ্দিন আহমদ, জাহেদুল আলম, কাদের সোবহান, আনোয়ার হোসেন, সুবীর মিত্র ও অলিক দেওয়ান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।