বুধবার পটিয়ায় আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি বলেন, “ক্ষমতায় থাকাকালে তারা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদ, বাংলাভাই ও সন্ত্রাসের দেশে পরিণত করেছিল।
“এই চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়েছে। অস্ত্র পাচারের ব্যবসার সাথে জড়িত কে? ওই খালেদা জিয়ার ছেলে।”
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল গভীর রাতে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় রাষ্ট্রায়ত্ত সিইউএফএল জেটিঘাটে খালাসের সময় দশ ট্রাক সমপরিমাণ অস্ত্র আটক হয়।
ওই রায়ের পর সংবাদ সম্মেলন করে ১০ ট্রাক অস্ত্র পাচারের ঘটনায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও হাওয়া ভবনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে তাদের বিচার দাবি করেছিলেন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সে সময় এই ষড়যন্ত্রে জড়িতদের বিচারের কথা বলেছিলেন। এর চার বছর পর চট্টগ্রামের জনসভায় আবার এ নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ড হওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “সে দুর্নীতি করেছে। ক্ষমতায় থেকে কালো টাকা সাদা করেছে। তার দুই ছেলে কালো টাকা সাদা করেছে।
“ক্ষমতায় থেকে এত কালো টাকা আসে কোত্থেকে? কারা জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করে? ধরা পড়েছে কোথায়? আমেরিকার কোর্টে ধরা পড়েছে। খালেদা জিয়ার ছেলেরা দুর্নীতি করে টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সিঙ্গাপুরে ধরা পড়েছে। জনগণের টাকা ফিরিয়ে এনে জনগণের হাতে আমরা ফেরত দিয়েছি।”
“২০১৪ ও ২০১৫ সালে ওই বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। স্কুলে যাচ্ছে শিশু, তার উপর পেট্রোল বোমা মেরেছে, এই চট্টগ্রামেই। তার চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। বাসে-বাড়িতে আগুন দিয়েছে। ২৭ জন পুলিশকে হত্যা করেছে। মা-বোন, শিশু কেউ রেহাই পায়নি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “খালেদা জিয়ার নির্দেশে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করেছে। বাসে-ট্রাকে আগুন দিয়েছে। ড্রাইভার-হেলপার পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। যাত্রী মারা গেছে। বাবা-মার সামনে সন্তান পুড়ে মারা গেছে।
“৫০০-এর উপর মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছিল বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি ও জামায়াত মিলে। যার মধ্যে এতটুকু মনুষ্যত্ব আছে তারা এভাবে মানুষকে পুড়িয়ে মারতে পারে? পারে না। কিন্তু ওরা কোনো মানুষ না।”
বাংলাদেশের জনগণ জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতির সাথে নেই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এসবের স্থান বাংলাদেশে হবে না। বাংলাদেশ হবে শান্তির দেশ।”
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ, উত্তর জেলার সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, নগরীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, পটিয়ার সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী প্রমুখ।