কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগরে হাজী জাগের আহমদ সওদাগরের নতুন বাড়িতে রোববার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জাগের আহমদের বড় ছেলে শেখ আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাত ২টার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রিলের দরজার তালা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে।
“এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশ পরিচয় দিয়ে অবৈধ মালামাল তল্লাশির কথা বলে আমার বাবা জাগের আহম্মদ ও ছোট ভাই সাদ্দম হোসেনকে রশি দিয়ে এবং বাড়িতে থাকা তিন মহিলাকে বাথরুমে আটকে রাখে। বাড়ির আলমারি ভেঙে অন্তত ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৬০ হাজার টাকা ও বিভিন্ন ধরনের মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।”
পালিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাত দলের সদস্যরা তার বাবা ও ভাইকে অন্য একটি রুমে বেঁধে রেখে পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
কর্ণফুলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান ইমাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যে বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে তার আশে পাশে কোন বসতি নেয়। রাতে ডাকাতরা গ্রিলের দরজা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে পুলিশ পরিচয় দেয় বলে বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন।
ডাকাত দল বাড়ির লোকদের পুলিশ পরিচয় দিলেও দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় তারা নিজেরাই দরজা ও আলমারি ভেঙে মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের এক বাড়িতে ডাকাতির সময় তিন প্রবাসী ভাইয়ের স্ত্রী ও তাদের এক বোনকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
গত শনিবার রাতেও শিকলবাহা এলাকার একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ কর্মকর্তা হাসান বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। দুইটি ডাকাতির ঘটনার একটি গ্রুপ করেছে কিনা সেটা তদন্ত করছি।”