‘জনদুর্ভোগ যেন কম হয় সেই চেষ্টা থাকবে’

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পটিয়ার জনসভার কারণে জনদুর্ভোগ যাতে কম হয় সেই লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2018, 08:01 AM
Updated : 19 March 2018, 08:44 AM

সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জনসভা আয়োজনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।

২১ মার্চ পটিয়ার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে জনসভার কারণে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ লাঘবের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেন, স্বাভাবিক কারণেই সামান্য জনদুর্ভোগ হবে।

“প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় চট্টগ্রামের সব প্রান্ত থেকে মানুষ আসবে- এটা আবেগের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর আগমণ উপলক্ষে জনসাধারণ এই দুর্ভোগ মেনে নেন। দল, প্রশাসন ও সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করব জনদুর্ভোগ যেন কম হয়। যাতায়াতে যেন বড় কোনো প্রতিবন্ধকতা না হয়।”

ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, “মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেটা আমাদের মাথায় আছে। কক্সবাজার থেকে নগরীমুখী যানবাহন আনোয়ার-বাঁশখালী সড়ক দিয়ে আসবে।”

যে মাঠে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে সেটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া অংশের মূল সড়কের লাগোয়া। চট্টগ্রাম থেকে পটিয়া হয়ে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায় চলাচলের এটিই মূল সড়ক।

সম্প্রতি পটিয়া সদর থেকে কক্সাবাজারমুখী একটি বাইপাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে; সেখানে মাটি ভরাট চলছে।

সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, “আশা করি তিন লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে জনসভায়। প্রধানমন্ত্রী কমপক্ষে ৪২টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন। ”

এক প্রশ্নের জবাবে সাইফুজ্জামান বলেন, চাওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ চট্টগ্রাম তথা পুরো চট্টগ্রামের জন্য অনেক কিছু দিয়েছেন। টানেল, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, মেরিন ড্রাইভ, কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন ও বাইপাস সড়ক হচ্ছে।

“দাবির মধ্যে একটাই- কালুরঘাট রেল ও সড়ক সেতু। সেটাও সরকারের পরিকল্পনায় আছে। আশা করি দ্রুত হয়ে যাবে।”

নগরী থেকে জনসমাগমের বিষয়ে জানতে চাইলে নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির বলেন, নগরীতে যারা বসবাস করেন তারা মূলত উত্তর ও দক্ষিণ জেলারই মানুষ।

“নগরীর প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে লোক যাবে। লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে।”

চট্টগ্রাম নগরী থেকে হেলিকপ্টার যোগে প্রধানমন্ত্রী পটিয়া যাবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

যে পথে চলাচল:

সংবাদ সম্মেলনে জনসভার দিন দুরপাল্লা এবং জনসভামুখী ও ফিরতি যানবাহনের চলাচলের পথ নির্দেশনা জানানো হয়।

মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, দূরপাল্লার যানবাহন গাছবাড়িয়া-বরকল-আনোয়ারা সড়ক দিয়ে চলাচল করবে। জনসভায় আসা গাড়িগুলো শুধু পটিয়া অভিমুখে আসার ব্যবস্থা থাকবে।

“সাতকানিয়া-লোহাগাড়া-বাঁশখালী, চন্দনাইশ, বান্দরবান ও রাঙামাটি থেকে জনসভায় আসা গাড়িগুলো চক্রশালায় নেতাকর্মীদের নামিয়ে দিয়ে বামে নতুন বাইপাসে প্রবেশ করবে। আনোয়ারা-কর্ণফুলী, বোয়ালখালী এবং চট্টগ্রাম নগরী ও উত্তর জেলা থেকে আসা গাড়ি ইন্দ্রপোলে নেতাকর্মীদের নামিয়ে দিয়ে বাইপাসে প্রবেশ করবে।”

কালুরঘাট সেতু, কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ে বন্দর সম্প্রসারণ, দক্ষিণ চট্টগ্রামে একটি বিভাগীয় স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রামের সাথে কক্সবাজার-আরাকান সড়ক চার লাইন করার সরকারি ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিও জানান মোছলেম উদ্দিন।

সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন পটিয়ার সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী ও সাংসদ ওয়াসিকা আয়েশা খান, উত্তর জেলার সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, নগরীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান এবং পটিয়ার পৌর মেয়র হারুনুর রশিদ।