শেখ হাসিনার পটিয়ার জনসভা সফলে প্রস্তুতি চট্টগ্রাম নগর আ. লীগে

দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পটিয়ার জনসভা সফল করতে বন্দর নগরীর প্রতি ওয়ার্ডে আগের দিন মিছিল ও সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ।

রোববার নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে আয়োজিত মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, “পটিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে আমরা মহানগর আওয়ামী লীগ প্রতিটি ওয়ার্ড এবং থানা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীসহ পটিয়ার জনসভায় উপস্থিত হব।

“২১শে মার্চ জনসভাকে সফল করার লক্ষ্যে আগামী ২০শে মার্চ প্রতিটি ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লায় জনসভার সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করা হবে।”

আগামী নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে শক্তিশালী করার উপর জোর দেন নাছির।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। যার ফলে বিগত ৯ বছরে চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশে যে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।

“জননেত্রী শেখ হাসিনার এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আবারো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এ লক্ষ্য নিয়ে আমাদের সবাইকে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।”

সভায় আওয়ামী লীগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, “সামনে জাতীয় নির্বাচন আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দলকে গুছিয়ে দলের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। কারণ পরাজিত শত্রুরা ওৎ পেতে আছে। সেই অশুভ শক্তি যাতে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেদিকে সর্তক থাকতে হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায় থেকে গতিশীল করার জন্য দলীয় সিদ্ধান্ত নেতাকর্মীদের অবশ্যই পালনীয় কর্তব্য। এ থেকে বিচ্যুত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সুনীল সরকার, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম জহিরুল আলম দোভাষ ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম ও এম এ রশিদ, উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, শফিকুল ইসলাম ফারুক, ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী এবং হাজী জহুর আহমদ।

সভায় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, ১৫টি থানা আওয়ামী লীগ ও ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।