রোববার সকালে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের কাছে মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে স্কুল বন্ধের কথা জানানো হয়।
তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নগরীর এমএম আলী রোডের এ স্কুলটিতে প্লে থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন ক্লাসে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বেতন বাড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল অভিভাবকরা। গত ১২ মার্চ স্কুল গেইটে মাইক টাঙিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশও করে একদল অভিভাবক।
তাদের দাবি অভিভাবকদের সাথে আলোচনা না করে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ক্লাসে বেতন ফি বাড়িয়েছে। অভিভাবকদের আন্দোলনে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিবেচনার আশ্বাস দেওয়ায় ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।
স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক হাসান মনসুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কোনো ঘোষণা না দিয়ে মোবাইল এসএমএস দিয়ে স্কুল ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সকালে ছেলেরা স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ক্ষুদে বার্তা পায়।
“ওই ক্ষুদে বার্তায় বলা হয় মেনটেইনেন্সের জন্য ১৮ মার্চ অনির্দিষ্টকাল স্কুল বন্ধ থাকবে।”
ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে স্কুল বন্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও সার্বিক) মো. হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা স্কুলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা এ বিষয়ে কিছু জানি না।”
ন্যাশনাল কারিকুলামের ইংরেজি মাধ্যমের এ স্কুলটিতে প্লে থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত মোট দুই হাজার ২০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগে গত বছর এ স্কুলটিসহ চট্টগ্রামের মোট ছয়টি স্কুলের স্বীকৃতি বাতিল করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরে উচ্চ আদালতে আপিল করে সিদ্ধান্ত স্থগিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
অভিভাবকদের অভিযোগ সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে এ বছর স্কুল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত টাকা আদায় করতে না পেরে বছরের তিন মাস পর শিক্ষার্থীদের বেতন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।