ফেনীতে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের পেছনে বিস্ফোরণের মামলা এবং চট্টগ্রামের দুইটি মামলায় জামিনে শাহাদাতের মুক্তি খবরে নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানাতে মঙ্গলবার বিকালে কারাফটকের সামনে জড়ো হয়েছিলেন।
কিন্তু জামিন আদেশ কারাগারে পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় শাহাদাতের মুক্তি মেলেনি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চট্টগ্রামের দুটি মামলাতে হাই কোর্ট থেকে আগেই জামিন পেয়েছিলেন ডা. শাহাদাত হোসেন।
“ফেনীর মামলাটির জামিনের আদেশও আজ চট্টগ্রাম এসে পৌঁছেছে। উনি আজ মুক্তি পাবেন এমনটাই প্রত্যাশা ছিল। সেজন্য নেতাকর্মীরা গিয়ে জেলগেটে দাঁড়িয়ে ছিল।”
মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, “জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন বিকাল হয়ে যাওয়ায় আজ মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়। আগামীকাল মুক্তি পেতে পারেন।
“জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে। সেখান থেকে দুই-তিনজনকে আটক করলেও পরে ছেড়ে দেয়।”
ঘটনার বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি অঞ্চলের সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শাহাদাত হোসেনের মুক্তি না পাওয়ার বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষ জানানোর পরও নেতাকর্মীরা জেলগেটে জড়ো হয়েছিল।
“তাদের বলেছিলাম মুক্তির পর দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে যা করার করতে। কিন্তু সেটা না শুনে তারা জেলগেটে ভিড় করেছিল। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর স্থাপনা, তাই তাদের ছত্রভঙ্গ করতে হয়েছে।”
তবে সেখান থেকে কাউকে আটক করার বিষয়টি অস্বীকার করেন পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।
শাহাদাত হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, ফেনী জজ আদালত থেকে জামিনের আদেশ হয়েছে।
এ সময় শাহাদাতসহ ১০ জনকে আটক করে পুলিশ। সেদিন রাতেই দলীয় কার্যালয়ের আশপাশের এলাকা থেকে আরও নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার রাতেই নগরীর কোতোয়ালি থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দুটি মামলা করা হয়।
মামলা দুটিতে শাহাদাত হোসেনসহ ৪৯ জনকে আসামি করা হয়। ওই দুই মামলায় তাকে রিমান্ডেও নেয় পুলিশ। একাধিকবার চট্টগ্রামের আদালতে জামিন আবেদন করলেও তা নামঞ্জুর হয়। পরে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
গত ৭ মার্চ হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ শাহাদাত হোসেনসহ গ্রেপ্তার ১৯ জনের জামিন মঞ্জুর করে।
এর আগেই ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরের পেছনে দুটি বাসে আগুন ও বিস্ফোরণের মামলায় শাহাদতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ওই মামলার এজাহারে শাহাদাতের নামই ছিল না। তার মুক্তি বিলম্বিত করতে ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।