রোববার বন্দর নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের মনিটরিং কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ বিষয়ে মন্তব্য করেন তিনি।
সিটি করপোরেশনের খাল খননকে ‘লোক দেখানো’ মন্তব্য করে মোশাররফ বলেন, “যারা সিটি করপোরেশনে বসছে, কিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে খালে যায় এবং কিছু মাটি তুলে লোকাল পত্রিকায় দিয়ে দেয়, মানে পরিস্কার হচ্ছে...
“এগুলো চট্টগ্রামবাসীকে দেখায়। এরপর আর কিছু নেই। আবার পানি আর পানি... আমরা চাই এটা না হোক। আমরা যে ৫০০ কোটি টাকা পেয়েছি এটা সেনাবাহিনী কাজ করছে আশা করি এটা সুন্দর ও সত্যিকারের কাজ হবে। এ মাটি ও বর্জ্য পরিষ্কার করতে পারব।”
চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুনঃখনন, সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সিডিএ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করার দায়িত্বে থাকলেও সেনাবাহিনীর সহায়তায় এ কাজটি হবে।
বৈঠকে মন্ত্রী সিডিএ’র কাজের বিষয়ে ‘অনিয়ম’ আছে বলেও মন্তব্য করেন।
সিডিএ’র নকশা না মেনে ভবন তৈরির কথা উল্লেখ করে চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য মোশাররফ জানতে চান, এ ধরনের ভবন মালিককে নোটিস দেওয়া হয়েছে কি না?
তিনি বলেন, “পাহাড় কাটা বন্ধ করা সিডিএ’র কাজ। পাহাড় কাটার কারণে বালি নালায় যাচ্ছে। আমরা খাল কাটব আর পাহাড়ের বালুতে নালা, খাল ভরাট হবে?”
পাহাড় কাটা বন্ধের পাশাপাশি যারা পাহাড় কেটে বাড়ি তৈরি করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন মন্ত্রী মোশাররফ।
সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম বন্দরের পর্ষদ সদস্য জাফর আলম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো, শহীদ উল্লা খন্দকার, সিসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন, সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল মজিদ, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফজলুল্লাহসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।