মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী গজারিয়া এলাকা থেকে শনিবার রাতে মো. ফিরোজ আলম চৌধুরী (৬০) নামের এই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত উপ-কমিশনার এএএম হুমায়ুন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নিউ মার্কেটের সিরাজুল আলম নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“ওই ব্যবসায়ী গোয়েন্দা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে নগরীর কোতোয়ালি থানায় তাকে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। মামলার পর শনিবার রাতে বাড়ি থেকে ফিরোজ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
গ্রেপ্তারের সময়ও ফিরোজ প্রতারণার আশ্রয় নেন জানিয়ে হুমায়ুন বলেন, “গ্রেপ্তারের পরপর ফিরোজ নিজের জিহ্বায় কামড় দিয়ে রক্তাক্ত করে এবং তার রক্তবমি শুরু হয়েছে বলে জানায়।
“তাকে পুলিশ পাহারায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ মহসিন জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি ফিরোজ আলম ওই ব্যবসায়ী সিরাজুল আলমের দোকানে বোরকা কিনতে যান এবং নিজেকে এসি-ডিবি পরিচয় দিয়ে তার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন।
“এসময় ওই ব্যবসায়ী তার বন্ধুর ছেলেকে পুলিশের এসআই পদে চাকরির জন্য ফিরোজ আলমের সহযোগিতা চাইলে তিনি আশ্বস্ত করেন এবং ৬ ফেব্রুয়ারি সিরাজুলের ওই বন্ধু তার দুই ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় যান।”
মামলায় সিরাজুল অভিযোগ করেন, ঢাকায় গিয়ে ফিরোজ আলম সিরাজুলের ওই বন্ধু ও তার দুই ছেলেকে নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যান। সেখানে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে আইজিপির সাথে কথা হয়েছে ও চাকরি নিশ্চিত হয়েছে তাদের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নেন।
এরপর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দামপাড়া পুলিশ লাইন মাঠে এসআই পদে নিয়োগ পরীক্ষার সময় শারীরিক মাপ নেওয়ার সময় দুই প্রার্থীকে এক পাশে দাঁড় করিয়ে রেখে আরও দুই লাখ টাকা নেন ফিরোজ।
পাশাপাশি আইজিপির ব্যক্তিগত সহকারী পরিচয় দেওয়া আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তিকে ১১ হাজার টাকার শুঁটকিও পাঠান তিনি।