অবশ্য বৃহস্পতিবার সকালে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হলেও বেলা ১১টার দিকে তা প্রত্যাহার করে নেয় চবি ব্যবসায়ী সমিতি।
ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার কলা অনুষদের ঝুপড়িতে খাওয়ার পর বিল চাইলে সিরাজ নামের এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
“পরে সিরাজকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
মারধরকারী নেতকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক গ্রুপ সিএফসি ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারি হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
তবে হামলাকারীরা তার অনুসারী নয় বলে জানিয়েছেন রেজাউল হক রুবেল।
তিনি বলেন, “কারা মারধর করেছে তা ওই ব্যবসায়ী বলতে পারেননি। আমরা তাকে দেখতেও গিয়েছিলাম।
“হামলাকারীরা আমাদের কেউ নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মারধরকারীদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থাই নেবে, তাতে আমরা সহযোগিতা করব।”
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, সকালে ক্যাম্পাসে পৌঁছার পর দোকানপাট বন্ধ থাকায় খাবার মেলেনি। এমনকি চাকসু কেন্টিনে গিয়েও কিছু পাওয়া যায়নি। প্রয়োজনীয় ফটোকপি ও খাতাপত্র কেনা সম্ভব হয়নি।
শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা জানান ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন।
এদিকে এই মারধরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সকালে ব্যবসায়ীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে মানববন্ধন করতে চাইলে পুলিশি তাদের বাধা দেয়।
পরে ব্যবসায়ী নেতারা প্রক্টর অফিসে একটি স্মারকলিপি দেন।
প্রক্টর মো. আলী আজগর চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে আমরা তাদের (ব্যাবসায়ী সমিতি) সাথে কথা বলেছি। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খুলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে।
“মারধরের বিষয়ে তাদের আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।”